Tuesday, 28 June 2016

জেনে নিন কম্পিউটারের সবকিছুই

জেনে নিন কম্পিউটারের সবকিছুই

জেনে নিন কম্পিউটারের সবকিছুইঃ একদমই প্রথম থেকে
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন ।



ইতিহাস

এমন একটি যন্ত্রের নির্মাণ ও ব্যবহারের ধারণা (যা কেবলমাত্র যান্ত্রিকভাবে, মানে যেকোনও রকম বুদ্ধিমত্তা ব্যতিরেকে, গাণিতিক হিসাব করতে পারে) প্রথম সোচ্চার ভাবে প্রচার করেন চার্লস ব্যাবেজ, যদিও তার জীবদ্দশায় তিনি এর প্রয়োগ দেখে যেতে পারেননি। কম্পিউটার বিজ্ঞানের সত্যিকার সূচনা হয় অ্যালান টুরিং এর প্রথমে তাত্ত্বিক ও পরে ব্যবহারিক গবেষণার মাধ্যমে। বর্তমান প্রযুক্তিতে কম্পিউটারের আবদানের অন্তরালে রয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষ নিরলস পরিশ্রম, উদ্ভাবনী শক্তি ও গবেষনা স্বাক্ষর। প্রগৈতিহাসিক যুগে গননার যন্ত্র উদ্ভাবিত বিভিন্ন কৌশল/ প্রচেষ্টাকে কম্পিউটার ইতিহাস বলাযায়। প্রাচীন কালে মানুষ সংখ্যা বুঝানোর জন্য ঝিনুক, নুড়ি, দড়ির গিট ইত্যাদি ব্যবহার করত। পরবর্তিতে গননার কাজে বিভিন্ন কৌশল ও যন্ত্র ব্রবহার করে থাকলেও অ্যাবাকাস (Abacus) নামক একটি প্রাচীন গননা যন্ত্রকেই কম্পিউটারের ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ অ্যাবাকাস থেকেই কম্পিউটারের ইতিহাসের শুভযাত্রা। অ্যাবাকাস ফ্রেমে সাজানো গুটির স্থান পরিবর্তন করে গননা করার যন্ত্র। খ্রিষ্ট পূর্ব ৪৫০/৫০০ অব্দে মিশরে/ চীনে গননা যন্ত্র জিসেবে অ্যাবাকাস তৈরি হয়।



১৬১৭ সালে স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার (John Napier) গণনা কাজে ছাপা বা দাগ কাটাকাটি/ দন্ড ব্যবহার করেন । এসব দন্ড নেপিয়ার (John Napier) এর অস্থি নামে পরিচিত।



১৬৪২ সারে ১৯ বছর বয়স্ক ফরাসি বিজ্ঞানী ব্লেইজ প্যাসকেল (Blaise Pascal) সর্বপ্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর আবিষ্কার করেন। তিনি দাঁতযুক্ত চাকা বা গিয়ারের সাহায্যে যোগ বিয়োগ করার পদ্ধতি চালু করেন।



১৬৭১ সালের জার্মান গণিতবিদ হটফ্রাইড ভন লিবনিজ (Gottfried Von Leibniz) প্যাসকেলের যন্ত্রের ভিত্তিতে চাকা ও দন্ড ব্যবহার করে গণ ও ভাগের ক্ষমতাসম্পন্ন আরো উন্নত যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর তেরি করেন।। তিনি যন্ত্রটির নামদেন রিকোনিং যন্ত্র (Rechoning Mechine)। যন্ত্রটি তত্ত্বগত দিক দিয়ে ভাল হলেও যান্ত্রিক আসুবিধার জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি।




পরে ১৮২০ সালে টমাস ডি কোমার bjgtut(Tomas De Colmar) রিকোনিং যন্ত্রের অসুবিধা দূর করে লাইবানজের যন্ত্রকে জনপ্রিয় করে তোলেন।



এর পর ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের আধ্যাপক চার্লস ব্যাবেজ (Charles Babbage) ১৮২৩ সালে ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine) বা বিয়োগফল ভিত্তিক গননার যন্ত্র উদ্ভাবন করেন।





একটু সহজ করে বলা যায় –

কম্পিউটার (computer) শব্দটি গ্রিক কম্পিউট(compute)শব্দ থেকে এসেছে। compute শব্দের অর্থ হিসাব বা গণনা করা।আর computer শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র।কিন্তু এখন আর কম্পিউটারকে শুধু গণনাকারী যন্ত্র বলা যায় না। কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা তথ্যগ্রহণ করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ ও উপস্হাপন করে। দেশে প্রথম কম্পিউটার আসে ১৯৬৪ সালে।


কম্পিউটার সিস্টেম

সিস্টেম হলো কতগুলো ইন্টিগ্রেটেড উপাদানের সম্মিলিত প্রয়াস যা কিছু সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কাজ করে।কম্পিউটার সিস্টেমের উপাদানগুলো নিম্নরুপ :-

১. হার্ডওয়্যার,

২. সফট্‌ওয়্যার,

৩. হিউম্যানওয়্যার বা ব্যবহারকারী,

৪. ডেটা/ইনফরমেশন।

হার্ডওয়্যার (Hardware)

কম্পিউটারের বাহ্যিক আকৃতি সম্পন্ন সকল যন্ত্র,যন্ত্রাংশ ও ডিভাইসসমূহকে হার্ডওয়্যার বলে।কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে প্রাথমিকভাবে তিনভাগে ভাগ করা যায়।

ক * ইনপুট যন্ত্রপাতিঃ কী-বোর্ড,মাউস,ডিস্ক,স্ক্যানার,কার্ড রিডার,ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি।

খ * সিস্টেম ইউনিটঃ হার্ডডিস্ক,মাদারবোর্ড,এজিপি কার্ড ইত্যাদি।

গ * আউটপুট যন্ত্রপাতিঃ মনিটর,প্রিন্টার,ডিস্ক,স্পিকার ইত্যাদি।

সফট্ওয়্যার (software)

সমস্যা সমাধান বা কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কম্পিউটারের ভাষায় ধারাবাহিকভাবে সাজানো নির্দেশমালাকে প্রোগ্রাম বলে। প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রাম সমষ্টি যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে হার্ডওয়্যারকে কার্যক্ষম করে তাকেই সফট্ওয়্যার বলে।কম্পিউটারের সফট্ওয়্যারকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। ক * সিস্টেম সফট্‌ওয়্যার : সিস্টেম সফট্‌ওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে কাজের সমন্বয় রক্ষা করে ব্যবহারিক প্রোগ্রাম নির্বাহের জন্য কম্পিউটারের সামর্থ্যকে সার্থকভাবে নিয়োজিত রাখে। খ * অ্যাপ্লিকেশন সফট্‌ওয়্যার : ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহিত প্রোগ্রামকে অ্যাপ্লিকেশন সফট্‌ওয়্যার বলে।ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক রকম তৈরি প্রোগ্রাম বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে পাওয়া যায়, যাকে সাধারণত প্যাকেজ প্রোগ্রামও বলা হয়।

হিউম্যানওয়্যার বা ব্যবহারকারী (Humanware)

ডেটা সংগ্রহ,প্রোগ্রাম বা ডেটা সংরক্ষণ ও পরীক্ষাকরণ,কম্পিউটার চালানো তথা প্রোগ্রাম লিখা,সিস্টেমগুলো ডিজাইন ও রেকর্ড লিপিবদ্ধকরণ এবং সংরক্ষণ,সফট্‌ওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় সাধন ইত্যাদি কাজগুলোর সাথে যুক্ত সকল মানুষকে একত্রে হিউম্যানওয়্যার (Humanware) বলা হয়।

ডেটা/ইনফরমেশন

ইনফরমেশন বা তথ্যের ক্ষুদ্রতম একককে ডেটা বলে।ডেটা হল সাজানো নয় এমন কিছু বিশৃঙ্খল ফ্যাক্ট (Raw Fact)ডেটা প্রধানত দুরকম –

(ক)নিউমেরিক (Numeric) ডেটা বা সংখ্যাবাচক ডেটা। যেমন – ২৫,১০০,৪৫৬ ইত্যাদি।

(খ)অ-নিউমেরিক (Non-Numeric) ডেটা। যেমন – মানুষ,দেশ ইত্যাদির নাম,জীবিকা,জাতি কিংবা ছবি,শব্দ ও তারিখ প্রভৃতি।

অপারেটিং সিস্টেম

অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে এমন একটি সফ্টওয়্যার যা কম্পিউটার প্রোগ্রামের এক্সিকিউশনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং যা সিডিউলিং,ডিবাগিং, ইনপুট/আউটপুট কন্ট্রোল,একাউন্টিং,কম্পাইলেশন,স্টোরেজ অ্যাসাইনমেন্ট,ডেটা ম্যানেজমেন্ট,এবং আনুষঙ্গিক কাজ করে থাকে। বর্তমানে মাইক্রো কম্পিউটার বা পিসিতে বহুল ব্যবহিত অপারেটিং সিস্টেমগুলো হলো – PC DOS,MS WINDOWS 95/98/2000,UNIX,UBUNTU,LinuxMint,MANDRIVA,DEBIAN,Fedora, MAC OSX,WINDOWS XP,WINDOWS Vista,WINDOWS 7.

কম্পিউটারের রয়েছে প্রচুর ব্যাবহার| ঘরের কাজ থেকে শুরু করে ব্যাবসায়িক, বৈজ্ঞানিক ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে এর অপরিসীম ব্যাবহার| সর্বোপরি যোগাযোগ ক্ষেত্রে এটি এনেছে অনন্য বিপ্লব| চিকিৎসা ও মানবকল্যানেও এটি এক অনন্য সঙ্গী| এক কথায় কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা প্রায় সকল কাজ করতে সক্ষম।

কম্পিউটারের প্রকার

প্রয়োগের তারতম্যের ভিত্তিতে কম্পিউটারকে দুভাগে ভাগ করা যায়।



সাধারণ ব্যবহারিক কম্পিউটার।
বিশেষ ব্যবহারিক কম্পিউটার।
আবার কম্পিউটারের গঠন ও প্রচলন নীতির ভিত্তিতে একে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।



এনালগ কম্পিউটার।
ডিজিটাল কম্পিউটার।
হাইব্রিড কম্পিউটার।
আকার, সামর্থ্য, দাম ও ব্যবহারের গুরুত্বের ভিত্তিতে ডিজিটাল কম্পিউটারকে আবার চার ভাগে ভাগ করা যায়।



মেইনফ্রেম কম্পিউটার।
মিনি কম্পিউটার।
মাইক্রো কম্পিউটার।
সুপার কম্পিউটার।
নিচে কম্পিউটারের পূর্ণাঙ্গ শ্রেণীবিভাগ দেখানো হলো :

এনালগ কম্পিউটার

যে কম্পিউটার একটি রাশিকে অপর একটি রাশির সাপেক্ষে পরিমাপ করতে পারে,তাই এনালগ কম্পিউটার। এটি উষ্ণতা বা অন্যান্য পরিমাপ যা নিয়মিত পরিবর্তিত হয় তা রেকর্ড করতে পারে।মোটর গাড়ির বেগ নির্ণায়ক যন্ত্র এনালগ কম্পিউটারের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।



ডিজিটাল কম্পিউটার

যে কম্পিউটার সংখ্যা ব্যবহারের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে তাই ডিজিটাল কম্পিউটার। এটি যে কোন গণিতের যোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে এবং বিয়োগ,গুণ ও ভাগের মতো অন্যান্য অপারেশন যোগের সাহায্যে সম্পাদন করে। যে কারনে



হাইব্রিড কম্পিউটার

হাইব্রিড কম্পিউটার হলো এমন একটি কম্পিউটার যা এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্যগুলোর সমন্বয়ে গঠিত। এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহার করা হয়। সুতরাং বলা যায়, প্রযুক্তি ও ভিত্তিগত দিক থেকে এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের আংশিক সমন্বয়ই হচ্ছে হাইব্রিড কম্পিউটার।



মেইনফ্রেম কম্পিউটার

মেইনফ্রেম কম্পিউটার হচ্ছে এমন একটি বড় কম্পিউটার যার সঙ্গে অনেকগুলো ছোট কম্পিউটার যুক্ত করে এক সঙ্গে অনেক কাজ করতে পারে। জটিল বৈজ্ঞানিক গবেষণায়,উচ্চস্তরের প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ,বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের শৈল্পিক ব্যবহারে এটা কাজে লাগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে এ ধরনের কম্পিউটার ব্যবহার করে – cyber 170,ibm-4300.




মিনি কম্পিউটার

যে কম্পিউটার টার্মিনাল লাগিয়ে প্রায় এক সাথে অর্ধ শতাধিক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে তাই মিনি কম্পিউটার। এটা শিল্প-বাণিজ্য ও গবেষণাগারে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।যেমন – pdp-11,ibms/36,ncrs/9290. যেমন সেটি



মাইক্রো কম্পিউটার

মাইক্রো কম্পিউটারকে পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি বলেও অভিহিত করা হয়। ইন্টারফেস চিপ, একটি মাইক্রোপ্রসেসর cpu এবং ram, rom সহযোগে মাইক্রো কম্পিউটার গঠিত হয়। দৈনন্দিন জীবনের সর্বক্ষেত্রে এ কম্পিউটারের ব্যবহার দেখা যায়।ম্যকিনটোস আইবিএম পিসি এ ধরনের কম্পিউটার।



সুপার কম্পিউটার

অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটারকে সুপার কম্পিউটার বলে।এ কম্পিউটারের গতি প্রায় প্রতি সেকেন্ডে ১ বিলিয়ন ক্যারেক্টর।পৃথিবীর আবহাওয়া বা কোনো দেশের আদমশুমারির মতো বিশাল তথ্য ব্যবস্হাপনা করার মতো স্মৃতিভান্ডার বিশিষ্ট কম্পিউটার হচ্ছে সুপার কম্পিউটার।CRAY 1, supers xll এ ধরনের কম্পিউটার।
খোসা না ফেলে দিয়ে জেনে নিন কিকি গুন

খোসা না ফেলে দিয়ে জেনে নিন কিকি গুন

ফেলে দেবেন না, জেনে নিন কোন খোসার কী গুণ
কোন কোন ফল খোসাসমেত খান আপনি? আপেল, শশা, আর কী কী? আর সব্জির মধ্যে? খোসা সমেত খান বা খোসা ছাড়িয়ে, বেশ কিছু ফল ও সব্জির খোসা অত্যন্ত উপকারী। জেনে নিন - এমনই কিছু ফল ও সব্জি যার খোসা ফেলে না দিয়ে অবশ্যই লাগাতে পারেন কাজে।

আপেল : আপেলের শাঁসের তুলনায় খোসায় ৮৭ শতাংশ বেশি ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে। যা ক্যানসার রুখতে সাহায্য করে।

কলা : কলার খোসায় ভিটামিন বি৬, বি১২, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম রয়েছে। কলার শাঁসের তুলনায় খোসায় ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় হজমেও সাহায্য করে।

কমলা লেবু : গোটা কমলা লেবুতে যে পরিমাণ ফাইবার থাকে তার চেয়ে চার গুণ বেশি ফাইবার থাকে খোসায়। ফ্লাভনয়েড থাকায় ইউ ভি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে কমলা লেবুর খোসা। ত্বকের ক্যানসার রুখতেও উপকারী কমলা লেবুর খোসা।

আলু : জানেন কি আলুর শাঁসের থেকেও ১৭ গুণ বেশি আয়রন থাকে আলুর খোসায়?

শশা : শশার খোসা খেতে যেমন উপকারী, তেমনই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায়, রোদে পোড়া দাগ, চোখের কোলের কালি দূর করতেও দারুণ কাজ করে শশার খোসা।

তরমুজ : বাইরের সবুজ খোসা নয়, ভিতরের সাদা নরম খোসা দারুণ উপকারী। তাই শুধু লাল অংশ খেয়েই তরমুজ ফেলে দেবেন না, সাদা অংশ মুখে মাখলেও উপকার পাবেন।

গাজর : টোম্যাটো বা লাল ক্যাপসিকাম আমরা খোসাসমেতই খাই। কমলা রং হওয়ার কারণে গাজরের খোসাও সমান উপকারী।

লেবু : লেবুর খোসা হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে যেমন সাহায্য করে, তেমনই শরীর থেকে টক্সিন দূর করে ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

আম : অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে দারুণ কাজ করে আমের খোসা। কোলেস্টেরল কমাতে যেমন সাহায্য করে, তেমনই হজমেও সাহায্য করে আমের খোসা।

লাউ : লিভার পরিষ্কার রাখতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ও ওজন কমাতে দারুণ উপকারী লাউয়ের খোসা।
নারীর মন জয়ের সহজ ৫ কৌশল

নারীর মন জয়ের সহজ ৫ কৌশল

নারীর মন জয়ের সহজ ৫ কৌশল

নারীর মন বোঝা নাকি বেজায় কঠিন। তবে এই নারীর মন জয় করা সহজ ব্যাপার হবে যদি আপনার সাধারণ কিছু কৌশল জানা থাকে। জেনে নেওয়া যাক কি সেই পাঁচটি গুন—

৫. যে কোনও পরিস্থিতিতে যার হাসানোর ক্ষমতা থাকে
মেয়েরা চায় সেন্স অফ হিউমার বা কৌতূকবোধ থাকা ছেলেদের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে। গুরুগম্ভীর নয় মুখে সবসময় হাসি থাকা মানুষই মেয়েদের কাছের লোক হয়। কোনও মেয়ে কোনও ছেলেকে ভালোবাসলে তার প্রাথমিক শর্ত ছেলেটার মুখের হাসিটা। আর তার হাসানোর ক্ষমতাটা। বুদ্ধিদীপ্ত কিছু হাসির কথা, কিংবা সঠিক সময়ে মজার কিছু কথা বলে ফেলা পুরুষদের মেয়েরা নিজের অজান্তেই পছন্দ করে ফলে। তারপর সেই পছন্দটা ভালোলাগায় পরিণত হতে পারে।

৪. ভাল শ্রোতা, স্পষ্ট বক্তা
মেয়েরা বলতে খুব ভালোবাসে। সমীক্ষা বলছে, ছেলেদের থেকে মেয়েরা সাধারণত ভালো বক্তা হয়। মেয়েরা চায় একজন ভালো শ্রোতা। তবে সবসময় হ্যাঁ-তে হ্যাঁ, না তে না বলা নয়, মেয়েরা চায় তার পুরুষ সঙ্গীটি যেন ভালো শ্রোতা হয়ে কথার রসদ জোগান। ভালো শ্রোতার পাশাপাশি স্পষ্ট বক্তা ছেলেদের, মেয়েরা বেশি পছন্দ করে। পেটে এক আর মুখে আরেক সে রকম পুরুষ মেয়েদের পছন্দ নয়।

৩. নিজের মত করে থাকতে দেওয়া
একজন মেয়ে চায় সে তার মত থাকবে। অবশ্য নিয়মশৃঙ্খলা মানবে, কিন্তু কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া নয়। যার সঙ্গে কথা বলতে ভালোলাগে, তার সঙ্গে কথা বলবে, মিশবে। যা খেতে-পরতে ভালোলাগে তাই করবে। তুমি এটা করো না, ওটা করো না, এর সঙ্গে কথা বলো না। এসব কথা শুনতে মেয়েরা ভালোবাসে না।

২. লেখক, কবি, চিত্রকর অথবা শিল্পী
মেয়েরা সৃজনশীল বা ক্রিয়েটিভ মানুষদের বেশি পছন্দ করে। যে কারণে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারদের চেয়ে লেখক, কবি, চিত্রকর বা পরিচালক-অভিনেতাদের প্রেমিকার সংখ্যা সাধারণত বেশি হয়। আসলে মেয়েদের একটা আলাদা জগত থাকে, সেই জগত্‍টা সৃজনশীলতার, নতুন কিছু করার। তাই সৃষ্টিশীল মানুষদের সঙ্গে মিশলে মেয়েরা বাড়তি অক্সিজেন পায়, প্রেমেও পড়ে।

১. যারা মনের জোর বাড়াতে পারে
মেয়েরা চায় এমন কোনও পুরুষকে যারা পাশে থেকে মনের জোর বাড়াতে পারে। মেয়েদের মনের জোর অনেক। কিন্তু সেই মনের জোর আরও বাড়ানোর জন্য পাশে কাউকে পেলে সে অনেক বড় কিছু করতে পারে। মেয়েরা চায় সব পরিস্থিতিতে এমন কোনও পুরুষ থাকুক যারা তাদের মনের জোর বাড়াবে
উকুন থেকে মুক্তি পেথে তাহলে পড়ুন

উকুন থেকে মুক্তি পেথে তাহলে পড়ুন

উকুন থেকে মুক্তি চান? তাহলে পড়ুন

বেশিরভাগ শিশুর মাথাতেই উকুনের আক্রমণ হয় যা মাথার তালুতে চুলকানির সৃষ্টি করে। এই ছোট্ট পরজীবীগুলো মাথার তালুতে হামাগুড়ি দিয়ে হাঁটে এবং রক্ত শোষণ করে।

যদিও এরা তেমন কোন মারাত্মক অসুস্থতার সৃষ্টি করেনা তবুও স্বাস্থ্যগত পরিচ্ছন্নতার জন্য এদের প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। উকুনের উপদ্রবের লক্ষণ হচ্ছে মাথার তালুর চুলকানি এবং ঘাড়ের পেছনে ছোট ছোট লাল দাগ ও ফোলা অংশ দেখা যায়।

আপনার শিশুর মাথাকে উকুন মুক্ত করার জন্য কিছু উপায় জেনে নেই আসুন।

১. উকুন প্রতিরোধ করার প্রথম উপায় হচ্ছে উকুন আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। আপনার সন্তানকে তার যে বন্ধুটি উকুনের সমস্যায় আক্রান্ত তার থেকে দূরে থাকার জন্য বলুন, যদিও এটি মেনে চলা শিশুদের পক্ষে কঠিন।

২. শিশুর চুল নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করলেই উকুনের উপদ্রব আছে কিনা তা বুঝতে পারা যায়। কারণ উকুন খুব দ্রুত বংশবিস্তার করে। উকুনের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে মাত্র ৭-১০ দিন লাগে এবং এই উকুনের প্রাপ্ত বয়স্ক হতে সময় লাগে মাত্র ৬-১০দিন। তখন তারা নিজেরাই ডিম পাড়ার উপযুক্ত হয়ে যায়। বর্তমান একটি জরিপে দেখা গেছে যে, ১০ জনের মধ্যে ৯ জন ফার্মাসিস্টই মনে করেন- অভিভাবকরা তাদের সন্তানের চুল প্রায়ই যথেষ্ট পরীক্ষণ করেন না।

৩. চিরুনি ও মাথায় ব্যবহৃত অন্যান্য জিনিস অন্য কারো সাথে শেয়ার না করা উচিত। চুলের কাঁটা, ক্লিপ, ব্যান্ড, চিরুনি ও অন্যান্য জিনিসের মধ্যে উকুন লেগে থাকতে পারে। আপনার সন্তানকে এই জিনিসগুলো অন্য শিশুদের সাথে শেয়ার করতে নিষেধ করুন বিশেষ করে যাদের মাথায় উকুন আছে তাদের সাথে।

৪. উকুননাশক শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে দিন, তাহলেও উকুন দূর হবে। আপনার সন্তানের চুল যদি বড় হয় তাহলে স্কুলে যাওয়ার সময় পনি টেইল বা বেণী বা ঝুঁটি করে দিন।

৫. আপনার শিশুর জামা কাপড় ও অন্যান্য জিনিস আলাদা রাখুন। উকুন কাপড় চোপড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে। যদি আপনার সন্তানের মাথায় উকুন হয় তাহলে তাঁর ব্যবহার্য জিনিস গুলো অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখুন।

৬. আপনি যদি লক্ষ্য করেন যে, হঠাৎ করেই আপনার সন্তান কয়েকবার মাথা চুলকাচ্ছে তাহলে সূক্ষ্ম দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে দিন এবং মাথাটি ভালো করে পরীক্ষা করুন।
লুঙ্গি পরে কলেজের মেয়েরা

লুঙ্গি পরে কলেজের মেয়েরা

লুঙ্গি পরে কলেজে মেয়েরা!
মেয়েরা সবাই লুঙ্গি কলেজে। শিক্ষকরা সবাই হতবাক। মেয়েরা এমনিতেই আসলে এ কাজটি করেন নি। এটা ছিল তাদের প্রতিবাদ।

জানা গেছে ভারতের কেরালার এক কলেজে মেয়েদের পোশাকবিধি নিয়ে নয়া ফরমান জারি হয়। কলেজের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী কেরালার এই কলেজে মেয়েদের জিনস পরে আসার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এরই প্রতিবাদে এই কলেজের মেয়েরা সবাই লুঙ্গি পরে কলেজে আসে। এমনই ছবি হোয়াটসঅ্যাপে পোস্ট করা হয়।

ছবিটি হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়ার পরই ভাইরাল হয়ে যায়। কোন কলেজের এই ঘটনা তা জানা যায়নি। শোনা গিয়েছে এই লুঙ্গি প্রতিবাদের পর ওই কলেজে জিনস না পরে আসার ব্যাপারে যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয় তা প্রত্যাহার করা হয়েছে
যৌনতা নিয়ে মধ্যযুগের অদ্ভুত কিছু নিয়ম

যৌনতা নিয়ে মধ্যযুগের অদ্ভুত কিছু নিয়ম

যৌনতা নিয়ে মধ্যযুগের অদ্ভুত কিছু নিয়ম

অনলাইন ডেস্ক: কেমন ছিল মধ্যযুগীয় যৌনতার রীতিনীতি? এ যুগের মানুষ হিসেবে যদি এই নিয়মগুলি শোনেন, তাহলে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হতেই পারে। ভারতীয় বেশ কিছু গণমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করেছে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক সেই রীতিনীতি।

১. বিয়ের আগে যৌনতার শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড।

২. ল্যাটেক্স-এর কন্ডোম তখনও বেরোয়নি। কন্ডোম সেই সময়ে তৈরি হত পশুর শরীরের অংশ বা কাপড় দিয়ে। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণের থেকেও কন্ডোম ব্যবহারের বড় কারণ ছিল যৌনরোগ থেকে সুরক্ষা।

৩. লম্বাটে পাঁউরুটি ব্যবহার করা হত সেক্স টয়-এর পরিবর্তে।

৪. বিয়ের পরে স্ত্রীর কুমারীত্বে দাঁড়ি ফেলার জন্য স্বামীদের একটি কাজ বাধ্যতামূলকভাবে করতে হত। স্ত্রীকে দামি দামি উপহার কিনে দেওয়া।

৫. সন্তানলাভের জন্য যৌনমিলন করলে, তা উপভোগ করার অধিকার নারী বা পুরুষ কারও ছিল না।

৬. বলা হত, কুমারীত্ব হারানোর পরে যদি কোনও মহিলা প্রবল তপস্যা এবং সাধনা করেন, তা হলে তিনি তাঁর ‘পবিত্রতা’ ফিরে পাবেন।

৭. সমকামিতার শাস্তি ছিল মৃত্যু। নিদেনপক্ষে এমন শারীরিক অত্যাচার, যা পাওয়ার পরে মনে হত, এর থেকে মৃত্যু ভাল।
বিভিন্ন দেশে জেনে নিন কিভাবে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়

বিভিন্ন দেশে জেনে নিন কিভাবে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়

বিভিন্ন দেশে যেভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য একেক দেশ একেক রকম পদ্ধতি ব্যবহার করে। জেনে নিন তেমন কয়েকটি পদ্ধতির কথা।

গুলি
ইন্দোনেশিয়া, চীন, সৌদি আরব, তাইওয়ান, উত্তর কোরিয়া সহ কয়েকটি দেশে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তির চোখ কালো কাপড় দিয়ে বেঁধে তাকে বসিয়ে বা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এরপর সামরিক বা নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকজন সদস্য একের পর এক গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন।

ইনজেকশন
অ্যানেস্থেশিয়ার জন্য সোডিয়াম পেন্টোনাল, সম্পূর্ণ অক্ষম করার জন্য প্যানকিউরোনিয়াম ব্রোমাইড আর হৃদযন্ত্র থামিয়ে দেয়ার জন্য পটাশিয়াম ক্লোরাইড নামের তিনটি রাসায়নিক উপাদান ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে ঢুকিয়ে অনেক দেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভিয়েতনামে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

ফাঁসি
বাংলাদেশ সহ আফগানিস্তান, ভারত, ইরান, ইরাক, জাপান, মালয়েশিয়া ও কুয়েতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রচলন রয়েছে।

বৈদ্যুতিক চেয়ারে বসিয়ে
অভিযুক্তকে কাঠের চেয়ারে বসিয়ে তার মাথা ও পায়ের মাধ্যমে শরীরে ৫শ থেকে ২ হাজার ভোল্ট বিদ্যুৎ প্রবাহিত করা হয়। প্রতিবার ৩০ সেকেন্ড করে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত কয়েকবার এভাবে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করা হয়। এই পদ্ধতিটা যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত।

শিরশ্ছেদ
কয়েক হাজার বছর ধরেই শিরশ্ছেদ বিষয়টি রয়েছে। তবে বর্তমানে শুধু সৌদি আরবে এই পদ্ধতিটি চালু রয়েছে। সাধারণত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মসজিদ প্রাঙ্গণে শিরশ্ছেদ করা হয়।

অন্যান্য উপায়
পাথর ছুড়ে মারা, গ্যাস চেম্বারে ফেলে দেওয়া, অনেক উঁচু থেকে অভিযুক্তকে নীচে ফেলে দেওয়ার মাধ্যমেও কোথাও কোথাও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
সাহস থাকলে আয়নায় সামনে ১৩ বার বলুন এই কথা

সাহস থাকলে আয়নায় সামনে ১৩ বার বলুন এই কথা

সাহস থাকলে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ১৩ বার বলুনতো এই কথা!
পশ্চিমের টিন এজ মেয়েদের এক বহু পুরনো ফুর্তি ‘স্লাম্বার পার্টি’। বাবা-মা-র কাছ থেকে একরাতের ছুটি নিয়ে মেয়েরা সমবেত হয় কোনও এক বন্ধুর ফাঁকা বাড়িতে। আর সেখানেই তারা রাত কাটায় আড্ডা মেরে। নেহাতই নিরীহ এবং অমল ব্যাপার। বাবা-মা-ও মেয়েদের এই নিশিযাপনে উৎসাহ দেন। এই প্রথা দীর্ঘকাল ধরেই ইউরোপে চলে আসছে। তাঁদের কাছে ‘স্লাম্বার পার্টি’ মেয়ের বড় হয়ে ওঠার একটা ধাপ।

আপাতদৃষ্টিতে ব্যাপারটা যতটা নিরীহ বলে মনে হয়, সব স্লাম্বার পার্টি তেমনটা নয়। টিন এজ মেয়েরা বয়ঃসন্ধির কৌতূহলে এমন কিছু কাণ্ড ঘটায়, যা প্রবল বিপদ ডেকে আনে যে তখন তা থেকে মুক্তি পাওয়া দুরূহ হয়ে ওঠে। অনেক সময়েই মেয়েরা এই রাত-কাটানোর খেলায় না জেনেবুঝেই প্র্যাকটিস করতে শুরু করে কিছু নিষিদ্ধ খেলা, যার মধ্যে ‘সামনিং অফ ব্লাডি মেরি’ অন্যতম।

ব্লাডি মেরি-র আহ্বান পশ্চিমের এক অতি পুরনো ব্ল্যাক ম্যাজিক গেম। এই গেম-এ অন্ধকার বাথরুমে এটা মোমবাতি জ্বালিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ১৩ বার মন-প্রাণ দিয়ে উচ্চারণ করতে হয় ‘ব্লাডি মেরি-ব্লাডি মেরি-ব্লাডি মেরি’। উচ্চারণ করতে হয় ফিস ফিস করে। তার পরে নাকি আয়নায় ফুটে ওঠে এক বিকৃত নারী-অবয়ব। এই পর্যন্ত গল্প সকলেরই জানা। কিন্তু তার পরে কী হয়?

প্যারানর্ম্যাল-বিদরা অনেকেই তাঁদের অ্যাকাউন্টে ব্লাডি মেরি-র পজেশনের কথা লিখেছেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল তাঁর একটি গল্পে ব্লাডি মেরি পজেশনের এক ভয়াবহ বর্ণনা রেখেছেন। সেখানে আয়না-নগরীর বসিন্দা ব্লাডি মেরি তার আহ্বায়িকাকে গ্রাস করে এবং সেই বাড়িতে ঘটতে থাকে ভয়ঙ্কর সব ঘটনা। ব্লাডি মেরি পজেশন-কে কেন্দ্র করে নির্মিত হয় বেশ কিছু হলিউডি ছবি। ১৯৮৮-এর ‘বিটলজুস’, ২০০৬-এর ‘ব্লাডি মেরি’ তার মধ্যে অন্যতম।

কিংবদন্তি অনুযায়ী, ব্লাডি মেরি আসলে নাকি ইংল্যান্ডের রাজকন্যা মেরি টিউডর, রাজা স্তম হেনরির কন্য। তিনি প্রথমে ছিলেন ফরাসি সম্রাট দ্বাদশ লুইয়ের পত্নী। পরে তিনি সাফোকের ডিউককে বিয়ে করেন। তাঁর এই দ্বিতীয় বিবাহ নিয়ে ইংল্যান্ডকে বিস্তর সমস্যা পোহাতে হয়। কিন্তু তিনি কেন ‘ব্লাডি মেরি’, সে বিষয়ে তেমন কোনও তথ্য প্যারানর্মাল-ওয়ালাদের ঝুলিতে নেই।

ব্লাডি মেরি যিনিই হন না কেন, তাঁর এই মিথের পিছনে কি কোনও সত্যতা রয়েছে? পশ্চিমের অনেক মহিলাই দাবি করেন, কম বয়সে তাঁরা ব্লাডিমেরি রিচুয়াল প্র্যাকটিস করেছেন। অনেকেই জানান, মোমের আলোয় বাথরুমের আয়নায় তাঁরা স্বচক্ষে দেখেছেন ফ্যাকাশে, বিকৃত নারী-অবয়ব ফুটে উঠতে।
মনোবিদরা অবশ্য এর অন্য ব্যাখ্যা দেন। ইতালির মনোবিদ জিওভানি ক্যাপুতো এমন ৫০জন মেয়ের উপরে সমীক্ষা চালান, যারা ব্লাডি মেরিকে প্রত্যক্ষ করেছে বলে দাবি করে। তাদের তিনি আয়নার দিকে ১০ মিনিট একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে বলেন। তাদের বেশির ভাগই হয় নিজেদের মুখকে বিকৃত অবস্থায় দেখে, নয়তো কোনও অপরিচিত বিকৃত মুখচ্ছবি আয়নায় ফুটে উঠতে দেখে। কাপুতো জানান, চোখের নিউরন-ঘটিত সাময়িক সমস্যাই এই ‘বিকৃতি’-র জন্ম দেয়। তা ছাড়া, টিন এজ মেয়েদের কল্পনাপ্রবণতা তো রয়েছেই।

কিন্তু প্যারানর্মালবাদীরা এত সহজে হাল ছাড়ার পাত্র নন। তাঁরা আজও বলে য়ান এক অতৃপ্ত আত্মার কথা, আয়নার ভিতরে কোনও রহস্য নগরীর বাসিন্দা। যে বেরিয় আসতে চায় তার বন্দিত্ব থেকে। তাকে জাগাতে কেবল প্রয়োজন আবছায়া আলো, বাথরুমের ঝাপসা আয়না আর একাগ্র চিত্তে ১৩ বার ডাক— ‘ব্লাডি মেরি... ব্লাডি মেরি... ব্লাডি মেরি
৩ মিনিটে হবে গোলাপি ঠোঁট না দেখলে চরম মিস করবেন

৩ মিনিটে হবে গোলাপি ঠোঁট না দেখলে চরম মিস করবেন

ঠোঁট দৃষ্টি আকর্ষন করে। আর সেই ঠোঁট যদি দেখতে সুন্দর হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নাই। আজ জেনে নিন কিভাবে অল্প সময়ে সুন্দর গোলাপী ঠোঁট পাওয়ার উপায়। মাত্র তিন মিনিটে গোলাপি ঠোঁট পেতে হলে প্রয়োজন হবে চিনি, মধু, লেবু, স্ট্রবেরি এবং অলিভ অয়েল। এবার ঝটপট অনুসরণ করুন নিচের পদ্ধতিগুলো

ঘরোয়া লিপবাম
গোলাপি ঠোঁটের জন্য ঘরোয়া উপায়েই তৈরি করা যায় লিপবাম। দুই চামচ পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে এক চামচ স্ট্রবেরি মিশিয়ে একটি লিপবাম তৈরি করা যেতে পারে। প্রতিদিনের ব্যবহারে উপকার পাওয়া যাবে।

চিনির স্ক্রাব ব্যবহার
চিনি প্রাকৃতিক এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। ত্বকের উপর জমে থাকা মৃত কোষ দূর করে ঠোঁটের রং হালকা করতে সাহায্য করে। দুই চামচ মাখনের সঙ্গে তিন চামচ চিনি মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন এই স্ক্রাব ব্যবহারে ঠোঁটের রং হালকা হবে।

ঠোঁটের ঘরোয়া স্ক্রাব
দুধ এবং হলুদগুঁড়া মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে একটি নরম ব্রাশ দিয়ে ঠোঁট ঘষে নিতে হবে। এরপর সামান্য পেস্ট নিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে দুই থেকে তিন মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ঠোঁট ধুয়ে শুকিয়ে যাওয়ার পর লিপ বাম লাগিয়ে নিতে হবে।

লেবুর রস
প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান হিসেবে পরিচিত লেবু। তাই ঠোঁটের কালচেভাব দূর করতেও লেবু দারুণ কার্যকর। এক টুকরা লেবু নিয়ে ঠোঁটে ঘষে নিলেই উপকার পাওয়া যাবে। প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে লেবুর রস মেখে ঘুমালে উপকার পাওয়া যাবে।

লেবু ও চিনির স্ক্রাব
এক চামচ লেবুর রস, সামান্য নারিকেল তেল ও দুই চামচ চিনি ভালোভাবে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। চাইলে আরো খানিকটা চিনি মিশিয়ে নেয়া যেতে পারে। এই স্ক্রাব ঠোঁটে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশ করতে হবে। নরম এবং ছোট একটি টুথব্রাশ দিয়েও ঘষে নেওয়া যেতে পারে। কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে লিপ বাম লাগিয়ে নিতে হবে।

মধু
বাহ্যিক কারণে ঠোঁটের রং কালচে হয়ে গেলে তা ঠিক করতে মধু বেশ কার্যকর। রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে মধু মেখে ঘুমানো যেতে পারে। এতে সারারাত ঠোঁটের নমনীয়তা বজায় থাকে। তাই ঠোঁটের কালচেভাব দূর হয় এবং ঠোঁটে গোলাপিভাব যুক্ত হয়।

অলিভ তেল
অলিভ তেলে রয়েছে ভিটামিনসহ নানারকম খনিজ উপাদান। প্রতিদিন ঘুমানোর সময় ঠোঁটে অলিভ অয়েল লাগিয়ে ঘুমালে ঠোঁট কোমল হয়।