Thursday, 9 June 2016

সৃতি শক্তি বাড়াতে মহানবী (সাঃ)৯টি কাজ করতে বলেছেন

সৃতি শক্তি বাড়াতে মহানবী (সাঃ)৯টি কাজ করতে বলেছেন

সৃতি শক্তি বাড়াতে মহানবী (সা.) ৯টি কাজ করতে বলেছেন




আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যাদের কোন কিছু মনে থাকে না। আবার এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছে, যারা কোন কিছু খুব বেশি দিন মনে রাখতে পারেন না। এমন সমস্যা মূলত দূর্বল স্মৃতিশক্তির কারণে হয়ে থাকে। সেগুলো হলো-
১. ইখলাস বা আন্তরিকতাঃ

যে কোনো কাজে সফলতা অর্জনের ভিত্তি হচ্ছে ইখলাস বা আন্তরিকতা। আর ইখলাসের মূল উপাদান হচ্ছে বিশুদ্ধ নিয়ত। নিয়তের বিশুদ্ধতার গুরুত্ব সম্পর্কে উস্তাদ খুররাম মুরাদ বলেন, “উদ্দেশ্য বা নিয়ত হল আমাদের আত্মার মত অথবা বীজের ভিতরে থাকা প্রাণশক্তির মত। বেশীরভাগ বীজই দেখতে মোটামুটি একইরকম, কিন্তু লাগানোর পর বীজগুলো যখন চারাগাছ হয়ে বেড়ে উঠে আর ফল দেওয়া শুরু করে তখন আসল পার্থক্যটা পরিস্কার হয়ে যায় আমাদের কাছে। একইভাবে নিয়ত যত বিশুদ্ধ হবে আমাদের কাজের ফলও তত ভালো হবে।” এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা বলেন, “তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম।” [সূরা আল-বায়্যিনাহঃ ৫] তাই আমাদের নিয়ত হতে হবে এমন যে, আল্লাহ আমাদের স্মৃতিশক্তি যেনো একমাত্র ইসলামের কল্যাণের জন্যই বাড়িয়ে দেন।

২. দু’আ ও যিকর করাঃ
আমরা সকলেই জানি আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো কাজেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। এজন্য আমাদের উচিত সর্বদা আল্লাহর কাছে দু’আ করা যাতে তিনি আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেন এবং কল্যাণকর জ্ঞান দান করেন। এক্ষেত্রে আমরা নিন্মোক্ত দু’আটি পাঠ করতে পারি, “হে আমার পালনকর্তা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।” [সূরা ত্বা-হাঃ ১১৪] তাছাড়া যিকর বা আল্লাহর স্মরণও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন, “…যখন ভুলে যান, তখন আপনার পালনকর্তাকে স্মরণ করুন…” [সূরা আল-কাহ্‌ফঃ ২৪] তাই আমাদের উচিত যিকর, তাসবীহ (সুবহান আল্লাহ), তাহমীদ (আলহামদুলিল্লাহ), তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাকবীর (আল্লাহু আকবার) – এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আল্লাহকে স্মরণ করা।

৩. পাপ থেকে দূরে থাকাঃ
প্রতিনিয়ত পাপ করে যাওয়ার একটি প্রভাব হচ্ছে দুর্বল স্মৃতিশক্তি। পাপের অন্ধকার ও জ্ঞানের আলো কখনো একসাথে থাকতে পারে না। ইমাম আশ-শাফি’ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, “আমি (আমার শাইখ) ওয়াকীকে আমার খারাপ স্মৃতিশক্তির ব্যাপারে অভিযোগ করেছিলাম এবং তিনি শিখিয়েছিলেন আমি যেন পাপকাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখি। তিনি বলেন, আল্লাহর জ্ঞান হলো একটি আলো এবং আল্লাহর আলো কোন পাপচারীকে দান করা হয় না।” আল-খাতীব আল-জামী’(২/৩৮৭) গ্রন্থে বর্ণনা করেন যে ইয়াহইয়া বিন ইয়াহইয়া বলেনঃ “এক ব্যক্তি মালিক ইবনে আনাসকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘হে আবদ-আল্লাহ, আমার স্মৃতিশক্তিকে শক্তিশালী করে দিতে পারে এমন কোন কিছু কি আছে? তিনি বলেন, যদি কোন কিছু স্মৃতিকে শক্তিশালী করতে পারে তা হলো পাপ করা ছেড়ে দেয়া।’” যখন কোনো মানুষ পাপ করে এটা তাকে উদ্বেগ ও দুঃখের দিকে ধাবিত করে। সে তার কৃতকর্মের ব্যাপারে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে তার অনুভূতি ভোঁতা হয়ে যায় এবং জ্ঞান অর্জনের মতো কল্যাণকর ‘আমল থেকে সে দূরে সরে পড়ে। তাই আমাদের উচিত পাপ থেকে দূরে থাকার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা।

৪. বিভিন্ন উপায়ে চেষ্টা করাঃ
একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করলে আমরা দেখবো যে, আমাদের সকলের মুখস্থ করার পদ্ধতি এক নয়। কারো শুয়ে পড়লে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়, কারো আবার হেঁটে হেঁটে পড়লে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়। কেউ নীরবে পড়তে ভালোবাসে, কেউবা আবার আওয়াজ করে পড়ে। কারো ক্ষেত্রে ভোরে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়, কেউবা আবার গভীর রাতে ভালো মুখস্থ করতে পারে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজ নিজ উপযুক্ত সময় ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ঠিক করে তার যথাযথ ব্যবহার করা। আর কুর’আন মুখস্থ করার সময় একটি নির্দিষ্ট মুসহাফ (কুর’আনের আরবি কপি) ব্যবহার করা। কারণ বিভিন্ন ধরনের মুসহাফে পৃষ্ঠা ও আয়াতের বিন্যাস বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। একটি নির্দিষ্ট মুসহাফ নিয়মিত ব্যবহারের ফলে মস্তিষ্কের মধ্যে তার একটি ছাপ পড়ে যায় এবং মুখস্থকৃত অংশটি অন্তরে গভীরভাবে গেঁথে যায়।

৫. মুখস্থকৃত বিষয়ের উপর ‘আমল করাঃ
আমরা সকলেই এ ব্যাপারে একমত যে, কোনো একটি বিষয় যতো বেশিবার পড়া হয় তা আমাদের মস্তিষ্কে ততো দৃঢ়ভাবে জমা হয়। কিন্তু আমাদের এই ব্যস্ত জীবনে অতো বেশি পড়ার সময় হয়তো অনেকেরই নেই। তবে চাইলেই কিন্তু আমরা এক ঢিলে দু’পাখি মারতে পারি। আমরা আমাদের মুখস্থকৃত সূরা কিংবা সূরার অংশ বিশেষ সুন্নাহ ও নফল সালাতে তিলাওয়াত করতে পারি এবং দু’আসমূহ পাঠ করতে পারি সালাতের পর কিংবা অন্য যেকোনো সময়। এতে একদিকে ‘আমল করা হবে আর অন্যদিকে হবে মুখস্থকৃত বিষয়টির ঝালাইয়ের কাজ। আবার কোনো কিছু শেখার একটি উত্তম উপায় হলো তা অন্যকে শেখানো। আর এজন্য আমাদেরকে একই বিষয় বারবার ও বিভিন্ন উৎস থেকে পড়তে হয়। এতে করে ঐ বিষয়টি আমাদের স্মৃতিতে স্থায়ীভাবে গেঁথে যায়।

৬. মস্তিষ্কের জন্য উপকারী খাদ্য গ্রহণঃ
পরিমিত ও সুষম খাদ্য গ্রহণ আমাদের মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্যের জন্য একান্ত আবশ্যক। অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ আমাদের ঘুম বাড়িয়ে দেয়, যা আমাদের অলস করে তোলে। ফলে আমরা জ্ঞানার্জন থেকে বিমুখ হয়ে পড়ি। তাছাড়া কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো আমাদের মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। সম্প্রতি ফ্রান্সের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যয়তুনের তেল চাক্ষুস স্মৃতি (visual memory) ও বাচনিক সাবলীলতা (verbal fluency) বৃদ্ধি করে। আর যেসব খাদ্যে অধিক পরিমাণে Omega-3 ফ্যাট রয়েছে সেসব খাদ্য স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকলাপের জন্য খুবই উপকারী। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অনেক ‘আলিম কিছু নির্দিষ্ট খাদ্য গ্রহণের কথা বলেছেন। ইমাম আয-যুহরি বলেন, “তোমাদের মধু পান করা উচিত কারণ এটি স্মৃতির জন্য উপকারী।”
মধুতে রয়েছে মুক্ত চিনিকোষ যা আমাদের মস্তিষ্কের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া মধু পান করার সাত মিনিটের মধ্যেই রক্তে মিশে গিয়ে কাজ শুরু করে দেয়। ইমাম আয-যুহরি আরো বলেন, “যে ব্যক্তি হাদীস মুখস্থ করতে চায় তার উচিত কিসমিস খাওয়া।”

৭. পরিমিত পরিমাণে বিশ্রাম নেয়াঃ
আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের মস্তিষ্ক অনেকটা ব্যস্ত অফিসের মতো কাজ করে। এটি তখন সারাদিনের সংগৃহীত তথ্যসমূহ প্রক্রিয়াজাত করে। তাছাড়া ঘুম মস্তিষ্ক কোষের পুণর্গঠন ও ক্লান্তি দূর করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে দুপুরে সামান্য ভাতঘুম আমাদের মন-মেজাজ ও অনুভূতিকে চাঙা রাখে। এটি একটি সুন্নাহও বটে। আর অতিরিক্ত ঘুমের কুফল সম্পর্কে তো আগেই বলা হয়েছে। তাই আমাদের উচিত রাত জেগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাওয়াহ বিতরণ না করে নিজের মস্তিষ্ককে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া।

৮. জীবনের অপ্রয়োজনীয় ব্যাপারসমূহ ত্যাগ করাঃ
বর্তমানে আমাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া ও জ্ঞান অর্জনে অনীহার একটি অন্যতম কারণ হলো আমরা নিজেদেরকে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় কাজে জড়িয়ে রাখি।’[
ফলে কোনো কাজই আমরা গভীর মনোযোগের সাথে করতে পারি না। মাঝে মাঝে আমাদের কারো কারো অবস্থা তো এমন হয় যে, সালাতের কিছু অংশ আদায় করার পর মনে করতে পারি না ঠিক কতোটুকু সালাত আমরা আদায় করেছি। আর এমনটি হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে নিজেদেরকে আড্ডাবাজি, গান-বাজনা শোনা, মুভি দেখা, ফেইসবুকিং ইত্যাদি নানা অপ্রয়োজনীয় কাজে জড়িয়ে রাখা। তাই আমাদের উচিত এগুলো থেকে যতোটা সম্ভব দূরে থাকা।

৯. হাল না ছাড়াঃ
যে কোনো কাজে সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো হাল না ছাড়া। যে কোনো কিছু মুখস্থ করার ক্ষেত্রে শুরুটা কিছুটা কষ্টসাধ্য হয়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমাদের মস্তিষ্ক সবকিছুর সাথে মানিয়ে নেয়। তাই আমাদের উচিত শুরুতেই ব্যর্থ হয়ে হাল না ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।

posted from Bloggeroid

প্রত্যেক রোজাদারের জন্য যে বিষয় গুলো জানা অপরিহার্য

প্রত্যেক রোজাদারের জন্য যে বিষয় গুলো জানা অপরিহার্য

রোজা ইসলামের অন্যতম ফরজ বিধান। এর পালনে কিছু বিধি-বিধান রয়েছে। প্রত্যেক রোজাদারের জন্য এগুলো জানা থাকা অপরিহার্য: রোজা ভেঙে যায় ও কাজা-কাফফারা ওয়াজিব হয় যে কারণে-

* ইচ্ছাকৃত কিছু খেলে বা পান করলে
* স্ত্রী সহবাস করলে
* কোনো বৈধ কাজ করার পর রোজা ভেঙে গেছে মনে করে ইচ্ছাকৃত খেলে।

> রোজা ভেঙে যায় ও কাজা ওয়াজিব হয় যে কারণে

* কানে বা নাকে ওষুধ ঢুকালে।
* ইচ্ছা করে মুখ ভরে বমি করলে অথবা অল্প বমি আসার পর তা গিলে ফেললে।
* কুলি করার সময় অনিচ্ছাকৃত গলার ভেতরে পানি চলে গেলে।
* কামভাবে কাউকে স্পর্শ করার পর বীর্যপাত হলে।
* খাদ্য না এমন বস্তু খেলে, যেমন: কাঠ, কয়লা, লোহা ইত্যাদি।
* ধূমপান করলে।
* আগরবাতি ইত্যাদির ধোঁয়া ইচ্ছা করে নাকে ঢুকালে।
* সময় আছে মনে করে সুবহে সাদিকের পর সেহেরি খেলে।
* ইফতারের সময় হয়ে গেছে মনে করে সময়ের আগেই ইফতার করে ফেললে।
* দাঁত দিয়ে বেশি পরিমাণ রক্ত বেরিয়ে তা ভেতরে চলে গেলে।
* জোর করে কেউ রোজাদারের গলার ভেতরে কিছু ঢুকিয়ে দিলে।
* হস্তমৈথুন দ্বারা বীর্যপাত ঘটালে।
* মুখে পান রেখে ঘুমালে এবং সে অবস্থায় সেহেরির সময় চলে গেলে।
* রোজার নিয়ত না করলে।
* কানের ভেতরে তেল ঢুকালে।
* এক দেশে রোজা শুরু হওয়ার পর অন্য দেশে চলে গেলে।

> যেসব কারণে রোজা মাকরুহ হয়

* বিনা প্রয়োজনে কোনো কিছু চিবালে।
২. তরকারির লবণ টেস্ট করে ফেলে দিলে।
* মাজন, কয়লা, গুল বা পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজলে। (তবে সামান্য ভেতরে গেলেও রোজা ভেঙে যাবে)
* রাতে ফরজ হওয়া গোসলসহ সারাদিন অতিবাহিত করলে।
* রোজা অবস্থায় রক্তদান করলে।
* পরনিন্দা, কুৎসা, অনর্থক কথা ও মিথ্যা বললে।
* ঝগড়া, ফাসাদ ও গালমন্দ করলে।
* ক্ষুধা ও পিপাসার কারণে অস্থিরতা প্রকাশ করলে।
* মুখে থুথু জমা করে গিলে ফেললে।
* স্ত্রীকে কামভাবের সঙ্গে স্পর্শ করলে।
* মুখে কিছু চিবিয়ে শিশুকে খাওয়ালে।
* লিপস্টিক লাগালে (যদি তা ভেতরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।)
* বুটের কণার চেয়ে ছোট কিছু দাঁতের ফাঁক থেকে বের করে গিলে ফেললে।

> যেসব কারণে রোজা ভাঙে না

* ভুলে কিছু খেলে বা পান করলে।
* অনিচ্ছাকৃত বমি করলে।
* রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে।
* অসুস্থতাজনিত কারণে বীর্যপাত হলে।
* স্বামী-স্ত্রী চুম্বন ও আলিঙ্গন করলে।

posted from Bloggeroid

যে সময় আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে খালি হাতে ফেরান না

যে সময় আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে খালি হাতে ফেরান না

যে বিশেষ মুহুর্তে আল্লাহ তায়ালা কাউকে খালি হাতে ফেরান না…

মহান আল্লাহ তায়ালা নিদের্শে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ফরয আমল শেষ করে অতিরিক্ত আমল হিসেবে বিভিন্ন নফল আমল করে থাকে। আল্লাহ তায়ালার রাজি খুশির জন্য আপনি যখনই আমল করবেন আল্লাহ তায়ালা খুশি হয়ে আপনার শুদ্ধ আমলটি কবুল করে নিবেন ইনশাল্লাহ।

তবে এরমধ্যেও এমন বিশেষ কিছু মুহুর্তৃ রয়েছে যে সময় আমল করলে মহান আল্লাহ তায়ালা সাথে সাথেই সেই আমল কবুল করেন। আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন মূলত ১১টি বিশেষ সময়ের আমল কবুল না করে ফেলে দিতে পারেন না।

আপনি সেই ১১টি বিশেষ সময় সম্পর্কে জানেন কি? যদি না জানেন, তাহলে এখনই জেনে নিন:

* ০১। রাতের শেষ তৃতীয়াংশে,
* ০২। আযান ও একামতের মাঝে,
* ০৩। লাইলাতুল কদরে,
* ০৪। আরাফার দিবসে,
* ০৫। ইফতারির পূর্ব মূহুর্তে,
* ০৬। সফর অবস্থায়,
* ০৭। জমজম কূপের পানি পানের সময়,
* ০৮। সিজদাহ অবস্থায়,
* ০৯। সালাতের শেষাংশে,
* ১০। নির্যাতনের শিকর বা বিপদের মূহুর্তে,

posted from Bloggeroid

অশ্লীলতা রোজাকে দুর্বল করে দেয়

অশ্লীলতা রোজাকে দুর্বল করে দেয়

মাহে রমজান পবিত্রতম অধ্যায়। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুমিন বান্দা রমজানের সিয়াম সাধনার মাধ্যমে নিজের আত্মা ও সত্তাকে পবিত্র করে তুলবে সে জন্য রমজানের রোজাকে ফরজ করেছেন। কিন্তু শুধু রোজার বাহ্যিক অনুশীলনটাই আত্মার পবিত্রতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট নয়। এ ক্ষেত্রে কিছু বৈষয়িক বিধিনিষেধ মান্য করাও জরুরি। বাহ্যিকভাবে কেউ সুবেহ সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাদ্য, পানীয় ও যৌনতা বর্জন করলে মাসআলা অনুযায়ী তার রোজা হবে। কিন্তু নিজের আত্মাকে পবিত্র করে তুলতে ব্যর্থ হলে ওই বাহ্যিক রোজার কোনো মূল্য বা সওয়াব পাওয়া যাবে না। এক হাদিসে রাসুলে করিম (স.) বলেছেন : বহু রোজাদার এমন আছে যাদের রোজার বিনিময়ে ক্ষুধা আর পিঁপাসার কষ্ট ছাড়া অন্য কিছুই অর্জিত হয় না। অর্থাৎ তারা রোজার বিনিময়ে কোনো পুণ্য বা সওয়াব পায় না। ( মুসনাদে আহমাদ : ৯৬৮৫, সুনানে দারামি : ২৯২৩, সুনানে ইবনে মাজা : ১৬৯, আস্-সুনানুল কুবরা : ৩২৩৬ ) যে সমস্ত বিষয় রোজার পুণ্যকে নষ্ট করে দেয় তার মধ্যে অন্যতম হলো অশ্লীলতা।
রোজোর যে সীমাহীন ফজিলতের কথা হাদিসে বলা হয়েছে, সেটা কিন্তু একেবারে শর্তহীন নয়। বরং আচরণ ও চরিত্রকে অশালীনতামুক্ত করা একটি অপরিহার্য শর্ত। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন : রোজাদার বনি আদমের প্রত্যেকটি আমলের সওয়াব দশগুণ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। মহান আল্লাহ বলেছেন, রোজা শুধুই আমার জন্য আর আমি নিজে এর পুরস্কার প্রদান করব। কেননা সে (রোজাদার) তার শাহওয়াত (যৌবিক তাড়না ) ও খাদ্যকে শুধু আমার (সন্তুষ্টি অর্জনের) জন্য বর্জন করে। (সহিহ আল-বোখারি : ৫৯২৭, সহিহ মুসলিম : ১১৫১, ইবনে মাজা : ১৬৩৭, মুসনাদে আহমাদ : ৯৭১২, মুসনাদে ইবনে আবি শাইবা : ৮৮৯৪)। হাদিসের ভাষ্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মুমিন বান্দাকে রোজার জন্য অসীম পুরস্কার দান করবেন তখনই, যখন সে রোজা রাখার মাধ্যমে তার যৌবিক ক্ষুধাকে দমন করতে পারবে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আমাদের সমাজে বেপর্দা, বেহায়াপনা আর অশ্লীলতা অত্যন্ত মারাত্মক পর্যায়ে নেমে গেছে। রোজা ও রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষার্থে সকল প্রকারের অশ্লীলতাকে দমন করা জরুরি। কারণ অশ্লীলতা আমাদের সমাজে জন্য সাংঘাতিক বেমানান। অপরদিকে মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার জন্য এবং রোজাদারের রোযা পরিপূর্ণ করারর জন্য অশ্লীলতা দমন করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। অশ্লীলতা রোজাকে দুর্বল ও সওয়াব শূন্য করে দেয়।

আসলে বেপর্দা আর অশালীনতার সঙ্গে নারীর অধিকারের কোনো সম্পর্ক নেই। ইসলামে পোশাকের বিধান হলো, যৌনাঙ্গকে আবৃত করা এবং নিজের সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলা। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন, ‘হে বনি আদম! আমি তোমাদের জন্য পোশাক অবতীর্ণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে আর অবতীর্ণ করেছি সৌন্দর্যের পোশাক এবং পরহেজগারির পোশাক আর এটিই সর্বোত্তম। এটি আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। (সুরা আল-আরাফ ২৬)।
মোট কথা হলো নারী হোক বা পুরুষ নিজের যৌনাঙ্গ ও তার আকৃতি জনসমক্ষে প্রদর্শন কারা চরম অশালীনতা। সঙ্গে সঙ্গে অশালীন কথাবার্তা ও অঙ্গভঙ্গি সবই ইসলামী শরিয়তে হারাম। পুরুষ যেমন তার প্রয়োজনে বিচরণ করবে তেমনি নারীও তার প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবে এখানে ইসলামী বিধানে কোনো পার্থক্য করা হয়নি। ইসলাম নারীকে যেমন তার শরীর আবৃত করে পোশাক পরতে বলেছে, তেমনি পুরুষকেও বলেছে একই কথা। সুতরাং নারী-পুরুষ সবার জন্য শালীনতা রক্ষা করা অপরিহার্য; বিশেষ করে মাহে রমজান ও রোজার পবিত্রতা রক্ষার জন্য সমাজ থেকে সকল প্রকার অশ্লীলতা দূর করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের কর্তব্য।

posted from Bloggeroid

৩টি কাজ মুসলমানের জন্য ওয়াজিব

৩টি কাজ মুসলমানের জন্য ওয়াজিব

ইসলাম ডেস্ক : পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জীব মানুষ। এই মানুষকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তার ইবদতের জন্যই। তবে আমরা ইবাদত-বন্দেগি বলতে কেবলমাত্র নামাজ, রোজা, হজ্জ্ব, জিকিরসহ ধর্র্মী কাজগুলোকেই বুঝি। কিন্তু এর বাইরেও ইবাদত রয়েছে।

যেমন, পৃথিবীতে মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনে যত কাজ আছে, সেগুলো যদি সততায় থেকে পালন করা যায় এবং এসব কাজে যদি সৃষ্টিকর্তাকে রাজি-খুশির নিয়ত থাকে, তবেই তা ইবাদাত-বন্দেগি হিসেবে
পরিগণিত হবে।
তাহলে সে সমস্ত কাজগুলো কি? এমন প্রশ্ন তো এখন নিশ্চয় আসছে। তাহলে জানুন, সে কাজ হতে পারে চাকরি, ব্যবসা, কৃষি ও সমাজসেবাসহ সকল কাজ। এমনকি পারিবারিক কর্ম সম্পাদনও ইবাদাতের অন্তর্ভূক্ত।
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সকল কাজ সম্পাদন করতে গিয়ে অনেক সময় মানুষ ভুল করে বসে। আবার কেউ কেউ সঠিক কাজেই করে। তবে আপনি যে অবস্থাতেই থাকেন না কেন, আপনার জন্য ৩টি ওয়াজিব রয়েছে। আর এগুলো হচ্ছে-
১. ভালো কাজের শুকরিয়া- ভালো কাজ করা আল্লাহ তাআলার নিয়ামাত। যার ফলে ভালো কাজের জন্য আল্লাহর শুকরিয়া ও প্রশংসা করা বান্দার জন্য ওয়াজিব।
২. গোনাহের কাজে ক্ষমা- যখনই বান্দা কোনো গোনাহ করে ফেলবে। তখনই গোনাহ থেকে মুক্ত হতে তওবা ও ক্ষমা চাওয়া ওয়াজিব।
৩. বিপদাপদে ধৈর্য- আল্লাহ তাআলা বান্দাকে বিপদাপদে পরীক্ষা করেন। বিপদের মুহূর্তে বান্দার জন্য ধৈর্য ধারণ করা আবশ্যক।

posted from Bloggeroid

বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন ৫০ টি দেশে

বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন ৫০ টি দেশে

হয়তো এমন খবর দেখে আশ্চর্য হতে পারেন। কিন্তু আসলেও ঘটনাটি সত্যি। শুধু বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকলেই ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন ৫০টি দেশে!

যদি এই ঘটনাটি সত্যি হয় তাহলে একজন বাংলাদেশী হিসেবে আপনিও গর্ব করতে পারেন নি:সন্দেহে। কারণ হলো ভিসা ছাড়াই শুধু বাংলাদেশের পাসপোর্টের জোরে আপনি অন্তত ৫০টি দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। সম্প্রতি আর্থিক খাতের উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান আরটন ক্যাপিটাল প্রভাবশালী পাসপোর্টের তালিকা তৈরি করেছে। আর এটিতে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অবস্থান ৬৭তম।


অরটন ক্যাপিটালের নিয়ন্ত্রিত পাসপোর্ট ইনডেস্ক ডটঅর্গ ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীরা ৫০টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারবেন। এ দেশগুলোর কয়েকটিতে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের কোনো ভিসার প্রয়োজনই হয় না। বাকি দেশগুলোর প্রায় সবগুলোর ক্ষেত্রেই সেখানে পৌঁছে ‘অন অ্যারাইভাল ভিসা’ করে নিতে হয়। আর, এক-দু’টি দেশের ক্ষেত্রে ভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে।

পাসপোর্ট ইনডেক্স ডটঅর্গে বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের প্রভাব নিয়ে তালিকা করা হয়েছে। কোনো দেশের পাসপোর্টধারী ভিসা ছাড়াই অন্য দেশের যাওয়ার সংখ্যার ভিত্তিতে এই তালিকা করা হয়।



ভিসা ছাড়া যাওয়া যাবে এবং অবস্থান করা যাবে এমন দেশগুলো হচ্ছে:

# এশিয়া মাহাদেশের মধ্যে ভুটান (যত দিন ইচ্ছা)
# শ্রীলংকা (৩০ দিন)
# আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে কেনিয়া (৩ মাস)
# মালাউই (৯০ দিন)
# সেশেল (১ মাস)
# আমেরিকা মাহাদেশের মধ্যে ডোমিনিকা (২১ দিন)
# হাইতি (৩ মাস)
# গ্রানাডা (৩ মাস)
# সেন্ট কিট্‌স এ্যান্ড নেভিস (৩ মাস)
# সেন্ড ভিনসেন্ট ও গ্রানাডাউন দ্বীপপুঞ্জ (১ মাস)
# টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ (৩০ দিন)
# মন্টসের্রাট (৩ মাস)
# ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপমালা (৩০ দিন)
# ওশেনিয়া মাহাদেশের মধ্যে ফিজি (৬ মাস)
# কুক দ্বীপপুঞ্জ (৩১ দিন)
# নাউরু (৩০ দিন)
# পালাউ (৩০ দিন)
# সামোয়া (৬০ দিন)
# টুভালু (১ মাস)
# নুউ (৩০ দিন)
# ভানুয়াটু (৩০ দিন)
# মাক্রোনেশিয়া তিলপারাষ্ট্র (৩০ দিন) অন্যতম।

এছাড়াও যেসব দেশে প্রবেশের সময় (on arrival) ভিসা পাওয়া যাবে সেগুলো হচ্ছে:

# এশিয়ার মধ্যে আজারবাইজান (৩০ দিন, ফি ১০০ ডলার)
# জর্জিয়া (৩ মাস)
# লাউস (৩০ দিন, ফি ৩০ ডলার)
# মালদ্বীপ(৩০ দিন)
# মাকাউ (৩০ দিন)
# নেপাল (৬০ দিন, ফি ৩০ ডলার)
# সিরিয়া (১৫ দিন)
# পূর্ব তিমুর (৩০ দিন, ফি ৩০ ডলার)
# আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে বুরুন্ডি, কেপ ভার্দ, কোমোরোস, জিবুতি (১ মাস, ফি ৫০০ জিবুতিয়ান ফ্রাঙ্ক)
# মাদাগাস্কার (৯০ দিন, ফ্রি ১,৪০,০০০ এমজিএ)
# মোজাম্বিক (৩০ দিন, ফি ২৫ ডলার)
# টোগো (৭ দিন, ফি ৩৫,০০০ এক্সডিএফ)
# উগান্ডা (৩ মাস, ফি ৩০ ডলার)।

তবে বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট রওনা হবার সময় কিছু সুযোগ সন্ধানী অফিসার ভিসা নেই বা আপনার সমস্যা হবে এই মর্মে হয়রানি করতে পারে টু-পাই কামানোর জন্য। কেউ এসব দেশে বেড়াতে যেতে চাইলে টিকিট কেনার সময় আরো তথ্য জেনে নিতে পারেন। আর আপনার কাছে ফিরতি টিকেট ও হোটেল বুকিং এর কাগজ অবশ্যই থাকতে হবে।

posted from Bloggeroid

কিডনির সমস্যার পাঁচ লক্ষণ_bdmylove.com

কিডনির সমস্যার পাঁচ লক্ষণ_bdmylove.com

শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মধ্যে কিডনি অন্যতম। কিডনির রোগ সম্পূর্ণ শরীরকে নাজুক করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

কিছু উপসর্গ রয়েছে যেগুলো দেখলে বোঝা যায় কিডনির রোগ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টাইম ফর ন্যাচারাল জানিয়েছে এসব লক্ষণের কথা।

কোমর ব্যথা

সঠিকভাবে অঙ্গ বিন্যাসের অভাবে কোমর ব্যথা হয়। তবে কিডনির ক্ষতির কারণেও কিন্তু অনেক সময় কোমর ব্যথা হয়। এটি একটি প্রাথমিক লক্ষণ কিডনি রোগের। তাই কোমর ব্যথায় অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

শুষ্কতা ও চুলকানি

কিডনি শরীরের বিষাক্ত পদার্থগুলোকে দূর করে দিতে ছাঁকনি হিসেবে কাজ করে। কিডনি ভালোভাবে কাজ না করলে দূষিত পদার্থগুলো রক্তের মধ্যে বাড়তে থাকে। এতে ত্বকের ভেতর চুলকানি, শুষ্কতা ও র‍্যাশের মতো সমস্যা হয়। ত্বকের অন্যান্য সমস্যার ক্ষেত্রে বিষয়গুলো হলেও কিডনির সমস্যার ক্ষেত্রে এসব বিষয়গুলো হয়।

প্রস্রাবের ধরনের পরিবর্তন

কিডনির সমস্যা হলে প্রস্রাবের ধরনের পরিবর্তন হয়। প্রস্রাব অনেক সময় ফেনাযুক্ত হয়, সাধারণ অব্স্থার তুলনায় অনেক বেশি হয়, প্রস্রাবের রং গাঢ় হয়, অনেক সময় প্রস্রাব করতে অসুবিধা বোধ হয়, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যায়। এসব সমস্যা দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

দীর্ঘমেয়াদি দুর্বলতা ও অবসন্নতা

কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আরেকটি লক্ষণ হলো দীর্ঘমেয়াদি দুর্বলতা ও অবসন্নতা। কিডনির সমস্যা হলে কোষে অক্সিজেন পরিবহনে সমস্যা হয়। এতে শরীর দুর্বল ও অবসন্ন লাগে।

শরীর ফুলে যাওয়া

কিডনি ভালোভাবে কাজ না করলে শরীরে তরল (ফ্লুইড) জমে। এতে মুখ, পা, পায়ের পাতা, হাঁটু ইত্যাদি অংশে পানি এসে ফুলে যায়। যদি শরীর ফোলার এ রকম সমস্যা দেখা যায় তাহলে অবহেলা করবেন না।

posted from Bloggeroid

কেউ স্ট্রােক হলে কি করবেন জেনে নিন

কেউ স্ট্রােক হলে কি করবেন জেনে নিন

ইস! কৌশলটা আগে জানা থাকলে বাবা স্ট্রোক করে মারা যেতেন না!



চীনের অধ্যাপকরা বলছেন যে কারো স্ট্রোক হচ্ছে যদি এমন দেখেন তাহলে আপনাকে নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
যখন কেউ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তার মস্তিষ্ক কোষ ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়।মানুষের ফার্স্ট এইড এবং বিশ্রামের প্রয়োজন হয়।
যদি দেখেন স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সরানো যাবে না কারন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বিস্ফোরিত হতে পারে, এটা ভাল হবে যদি আপনার বাড়ীতে পিচকারি সুই থাকে, অথবা সেলাই সুই থাকলেও চলবে , আপনি
কয়েক সেকেন্ডের জন্য আগুনের শিখার উপরে সুচটিকে গরম করে নেবেন যাতে করে জীবাণুমুক্ত হয় এবং তারপর রোগীর হাতের 10 আঙ্গুলের ডগার নরম অংশে ছোট ক্ষত করতে এটি ব্যবহার করুন।এমনভাবে করুন যাতে প্রতিটি আঙুল থেকে রক্তপাত হয়, কোন অভিজ্ঞতা বা পূর্ববর্তী জ্ঞানের প্রয়োজন হবে না ।
কেবলমাত্র নিশ্চিন্ত করুন যে আঙ্গুল থেকে যথেষ্ট পরিমাণে রক্তপাত হচ্ছে কি না।
এবার 10 আঙ্গুলের রক্তপাত চলাকালীন, কয়েক মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন দেখবেন ধীরে ধীরে রোগী সুস্থ হয়ে উঠছে।
যদি আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ বিকৃত হয় তাহলে তার কানে ম্যাসেজ করুন। এমনভাবে তার কান ম্যাসেজ করুন যাতে ম্যাসেজের ফলে তার কান লাল হয়ে যায় এবং এর অর্থ হচ্ছে কানে রক্ত পৌঁছেছে।
তারপর প্রতিটি কান থেকে দুইফোঁটা রক্ত পড়ার জন্য প্রতিটি কানের নরম অংশে সুচ ফুটান।কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন দেখবেন মুখ আর বিকৃত হবে না।আরও অন্যান্য উপসর্গ দেখা যায়। যতক্ষণ না রোগী মোটামুটি স্বাভাবিক হচ্ছে অপেক্ষা করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেই যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করান।
জীবন বাঁচাতে রক্তক্ষয় পদ্ধতি চীনে প্রথাগত ভাবে চিকিৎসার অংশ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এবং এই পদ্ধতির ব্যবহারিক প্রয়োগ,100% কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে।

এই পোস্টটিকে লাইক করার চেয়ে শেয়ার করলে ব্যাপারটা সবাই জানতে পারবে।
দয়া করে এটিকে বেশি বেশি করে শেয়ার করুন।
যদি কেউ মনে করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর সাথে আলোচনা করতে পারেন।
মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য।
সুত্র :ইন্টারনেট

posted from Bloggeroid

ইতিহাস (ঢাকা)

ইতিহাস (ঢাকা)

ঢাকা
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মোঘল-পূর্ব যুগে কিছু গুরুত্বধারন করলেও শহরটি ইতিহাসে প্রসিদ্ধি লাভ করে মোঘল যুগে। ঢাকা নামের উৎপত্তি সম্পর্কে স্পষ্ট করে তেমন কিছু জানা যায় না। এ সম্পর্কে প্রচলিত মতগুলোর মধ্যে কয়েকটি নিম্নরূপঃ ক) একসময় এ অঞ্চলে প্রচুর ঢাক গাছ (বুটি ফুডোসা) ছিল; খ) রাজধানী উদ্বোধনের দিনে ইসলাম খানের নির্দেশে এখানে ঢাক অর্থাৎ ড্রাম বাজানো হয়েছিল; গ) ‘ঢাকাভাষা’ নামে একটি প্রাকৃত ভাষা এখানে প্রচলিত ছিল; ঘ) রাজতরঙ্গিণী-তে ঢাক্কা শব্দটি ‘পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র’ হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে অথবা এলাহাবাদ শিলালিপিতে উল্লেখিত সমুদ্রগুপ্তের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ডবাকই হলো ঢাকা।

কথিত আছে যে, সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভ্রমণকালে সন্নিহিত জঙ্গলে হিন্দু দেবী দুর্গার বিগ্রহ খুঁজে পান। দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ রাজা বল্লাল সেন ঐ এলাকায় একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। যেহেতু দেবীর বিগ্রহ ঢাকা বা গুপ্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তাই রাজা মন্দিরের নাম ঢাকেশ্বরী মন্দির। মন্দিরের নাম থেকেই কালক্রমে স্থানটির নাম ঢাকা হিসেবে গড়ে ওঠে।আবার অনেক ঐতিহাসিকদের মতে, মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর যখন ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন, তখন সুবাদার ইসলাম খান আনন্দের বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ শহরে 'ঢাক' বাজানোর নির্দেশ দেন। এই ঢাক বাজানোর কাহিনী লোকমুখে কিংবদন্দির রূপ ধারণ করে এবং তা থেকেই এই শহরের নাম ঢাকা হয়ে যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ইসলাম খান চিশতি সুবাহ বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন এবং সম্রাটের নামানুসারে এর নামকরণ করে জাহাঙ্গীরনগর।

বিখ্যাত খাবারঃ
বাকরখানি, বিরিয়ানি

বিখ্যাত স্থানঃ
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ হল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাঁখারিবাজার, হোসেনী দালান, ছোট কাটরা, বড় কাটরা, কার্জন হল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ভবন (পুরাতন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা ভবন), ঢাকেশ্বরী মন্দির, তারা মসজিদ, মীর জুমলা গেট, পরীবিবির মাজার
পার্ক, বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ রমনা পার্ক, বাহাদুর শাহ্‌ পার্ক- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, সোহ্‌রাওয়ার্দী উদ্যান, বোটানিক্যাল গার্ডেন, ঢাকা শিশু পার্ক, বুড়িগঙ্গা নদী, ঢাকা চিড়িয়াখানা, বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর, বলধা গার্ডেন
স্মৃতিসৌধ ও স্মারকঃ জাতীয় শহীদ মিনার, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, (রায়ের বাজার), অপরাজেয় বাংলা-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভাস্কর্য আসাদ গেইট
আধুনিক স্থাপত্যঃ জাতীয় সংসদ ভবন, বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন, ভাসানী নভো থিয়েটার, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা বহুমুখী সেতু, যমুনা ফিউচার পার্ক, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার, হাতিরঝিল, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

বিখ্যাত বস্তুঃ
বেনারসী শাড়ি

posted from Bloggeroid