Sunday, 29 May 2016

কোন সফটওয়ার ছড়াই বাড়িয়ে নিন আপনার  কম্পিউটারের সিস্টেমের গতি ফোল্ডারের ব্রাউজিং গতি+বোনাস ট্রিকস

কোন সফটওয়ার ছড়াই বাড়িয়ে নিন আপনার কম্পিউটারের সিস্টেমের গতি ফোল্ডারের ব্রাউজিং গতি+বোনাস ট্রিকস

লিখেছেনঃ বাপ্পী পটুয়াখালী

আসাকরি সকলে ভাল আছেন । ….. কারনে আজ ঘরবন্ধি । তাই আপনাদের মাঝে অনেক দিন পর আবারও একটি টিউন করার চেষ্টা করলাম ।

সিস্টেমের গতি বাড়ানোর ট্রিকস :

——————————–

১. যেকোন কাজ শেষ করার পর ডেক্সটপে বারবার Refresh দিবেন, এরফলে র‍্যামের অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে যাবে ।


২. ওয়ালপেপারে বেশী বড় সাইজের ছবি সেট করবেন না ।

৩. ডেক্সটপে বেশী আইকন রাখবেন না, কারন প্রতিটি আইকন র‍্যামের ৫০০ বাইট জায়গা দখল করে রাখে ।

৪. Recycle Bin প্রতিদিন পরিষ্কার করবেন ।

৫. প্রতিদিন temporary internet files ডিলিট করবেন ।

৬. কমপক্ষে প্রতি ২ মাসে একবার হার্ডডিক্স Defragment করবেন ।

৭. সি ড্রইভে শুধু Windows রাখবেন, অনান্য Softwares অন্য ড্রইভে রাখবেন ।

৮. Softwares installing এর সময় tray icon মুছে দিবেন, starting the application automatically মুছে দিবেন ।

ফোল্ডারের ব্রাউজিং গতি বাড়ানোর ট্রিকস :

—————————————-My Computer+Tools menu+Folder Options+View tab এ গিয়ে “Automatically search for network folders and printer” Uncheck করে Apply দিয়ে Ok দিবেন ।
বোনাস ট্রিকস (১) :

——————কোন কিছু ডিলিট করার জন্য আমরা DELETE বাটনে চাপি তারপর একটি MESSAGES আসে এরপর Ok দিলে ডিলিট হয়ে Recycle Bin এ যায় ।কিন্তু শুধুমাত্র DELETE বাটনে চাপ দিয়ে যেকোন কিছু ডিলিট করুন এবং সরাসরি Recycle Bin এ পাঠান ।এজন্য Recycle Bin এর ‘Properties’ এ গিয়ে ‘Display Delete Confirmation Dialog’ Uncheck করে Apply দিয়ে Ok দিবেন ।
বোনাস ট্রিকস (২) :

——————-

আমরা সাধারনত সরাসির ডিলিট করার জন্য “Shift+Delete” চাপি, কিন্তু শুধুমাত্র DELETE বাটনে চাপ দিয়ে parmanently ডিলিট করুন ।এজন্য Recycle Bin এর ‘Properties’ এ গিয়ে “Don’t move file the recycle Bin…..” ক্লিক করে Apply দিয়ে Ok দিবেন ।

উপরের সবগুলোই হয়ত আপনাদের জানা, তারপরও আপনাদের আবার মনে করিয়ে দিলাম যদি কাজে লাগে । আজ আর না । কমেন্ট করতে ভুলবেন না ।

posted from Bloggeroid

যে দুটি জিনিসকে ভয় পান মুস্তাফিজ

যে দুটি জিনিসকে ভয় পান মুস্তাফিজ

ডেস্ক : মুস্তাফিজুর রহমানই তো ব্যাটসম্যানদের জন্য আতঙ্কের নাম! তবে বাংলাদেশের তরুণ পেসারও কিন্তু দুটি জিনিসকে ভয় পান। কী সেই দুটি জিনিস?


সানরাইজার্স হায়দরাবাদ স্কোয়াডের একমাত্র বাংলা জানা মানুষ রিকি ভুই। হায়দরাবাদের হয়ে একটি ম্যাচও খেলার সুযোগ না পাওয়া মধ্যপ্রদেশের তরুণ এই ব্যাটসম্যানই ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে বলেছেন, ‘সে (মুস্তাফিজ) দুটি জিনিসকে ভয় পায়- ব্যাটিং করা ও ইংরেজিতে কথা বলা।’



২০১৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে মুস্তাফিজের সঙ্গে একসঙ্গে খেলেছেন ভুই। বাংলা জানা ভুই-ই আইপিএলে হায়দরাবাদ টিম ম্যানেজমেন্ট ও দলের অন্যদের সঙ্গে মুস্তাফিজের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করছেন। এতে মুস্তাফিজ ও ভুইয়ের মধ্যে ভালো ঘনিষ্ঠতাও হয়েছে, ‘সে ইংরেজি জানে না বলে দলের অন্যদের সঙ্গে খুব একটা কথাও বলতে পারে না। ও আমার সঙ্গেই কথা বলে, আমাদের মধ্যে তাই বেশ ভালো ঘনিষ্ঠতা।’



মাঠে প্রয়োজনের সময় মুস্তাফিজ প্রতীকী ভাষা ব্যবহার করেন বলে জানালেন ভুই, ‘সে ইশারা দিয়েই মাঠে কাজ চালায় বেশি। স্লোয়ার বল করতে চাইলে সে কবজি ঘোরাবে। আর বাউন্সার করতে চাইলে মাথার দিকে ইঙ্গিত করবে।’



ভুই আরো জানালেন, মুস্তাফিজ মাঠের ভেতরে-বাইরে কাজ চালান দুটি শব্দ দিয়ে, ‘সে শুধু দুটি শব্দ বলে- “প্রবলেম” আর “নো প্রবলেম”। “প্রবলেম” মানে সে কিছুই বুঝছে না। আর “নো প্রবলেম” মানে সে জানে, কী করতে হবে।’



হায়দরাবাদের কোচ টম মুডি ও অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার একটা সময় মুস্তাফিজের জন্য বাংলা শেখাই শুরু করে দিয়েছিলেন। তবে তাতে সফল না হলেও মুস্তাফিজের সঙ্গে তাদের ভাষার দূরত্বটা আগের চেয়ে কমে এসেছে বলেই জানালেন মুডি, ‘এমন নয় যে আমাদের বাংলা কিছুটা ভালো হয়েছে, তবে ওর ইংরেজি কিছুটা ভালো হয়েছে। আর এমনিতে ক্রিকেটের একটা চিরন্তন ভাষা তো আছেই।’

posted from Bloggeroid

মোস্তাফিজের হায়দরাবাদ চ্যাম্পিয়ন

মোস্তাফিজের হায়দরাবাদ চ্যাম্পিয়ন

মৃদুভাষণ ডেস্ক::লেগ স্ট্যাম্পের ওপরে থাকা ভুবনেশ্বর কুমারের বলটি স্কুপ করে লং লেগ অঞ্চল দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন ইকবাল আবদুল্লাহ; কিন্তু উচ্ছাস নেই তার মুখে। মেগা স্ক্রিনে তখন ভেসে উঠলো উল্লাসিত ডেভিড ওয়ার্নারের মুখ। কারণ শেষ বলটি যে ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতা! তার আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে শিরোপা লড়াইয়ের জয়-পরাজয়।

নবম আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হলো ওয়ার্নার-মোস্তাফিজের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রোববার ফাইনালে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ঘরের মাঠে তাদেরকে ৮ রান হারিয়ে শিরোপা জেতে ওয়ার্নার বাহিনী। ২০৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে কোহলি বাহিনী ৭ উইকেটে করতে পেরেছে ২০০ রান। হায়দরাবাদের এটি প্রথম শিরোপা। অন্যদিকে তৃতীয় বারের মত ফাইনাল খেলেও শিরোপা অধরাই থেকে গেল ব্যাঙ্গালোরের।

ফাইনালে জয়ের মুল নায়ক দলের দুই পেসার ভুবনেশ্বর কুমার ও মোস্তাফিজুর রহমান। এর মধ্যে ভুবনেশ্বর কুমার ছিলেন এদিন ব্যাটসম্যানদের কাছে সবচেয়ে বড় ধাঁধাঁ। দলের হয়ে বোলিং শুরু করা উত্তর প্রদেশের এই পেসার প্রথম দুই ওভারে গেইল তা-বের মধ্যেও দিয়েছে মাত্র ১১ রান। আর ডেথ ওভারে যখন ম্যাচের ভাগ্য পে-ুলামের মত দুলছে সে সময় দুই ওভারে দেন মাত্র ১৪ রান। কোন উইকেট না পেলেও তার ২৪টি ডেলিভারীরই গড়ে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য। তার সাথে মোস্তাফিজুর রহমানও করে দুর্দান্ত বোলিং ৩৭ রানে ১ উইকেট নেন। মোস্তাফিজও ডেথ ওভারে হাত খুলে খেলতে দেননি ব্যাঙ্গালোরের ব্যাটসম্যানদের।

শুরুতে গেইল-কোহলির তা-বে ব্যাঙ্গালোরের জয় সহজ মনে হলেও এই দুই তারকার আউটের মাধ্যমে মাচে ফিরে আসে হায়দরাবাদ। ২০৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে হায়দরাবাদের বোলারদের ওপর টর্নোডো বইয়ে দেন ক্রিস গেইল। মাত্র ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব। বেন কাটিংয়ের বলে আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৭৬ রান করেন গেইল। তার ইনিংসে ছিল ৮টি ছক্কা আর ৪টি চারের মার।

গেইল যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন অনেকটা দর্শক হয়েই ছিলেন বিরাট কোহলি। গেইল আউট হওয়ার পর এতক্ষণ শান্ত মেজাজে থাকা বিরাট কোহলি যেন বুঝতে পারেন এবার তার পালা! একের পর এক বোলারদের কচুকাটা করতে শুরু করেন। তবে ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করা কোহলি ১৩ তম ওভারের শেষ বলে ফিরে যান সাজঘরে। এবার ঘাতক বিরেন্দও স্্রান। কোহলির আউটের ঠিক ৬টি বল পরে ফিরে যান আগের ম্যাচের ‘ঘাতক’ এবি ডি ভিলিয়ার্স। আর তখনই ম্যাচে ফিরে আসে হায়দরাবাদ।

ফাইনালে আগে ব্যাট করে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ দাড় কড়ায় সানরাইজার্স হয়দরাবাদ। আজও যথারীতি দলকে টেনে নিয়েছে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। মাত্র ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই রান মেশিন।

নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাড়িয়েছে ৭ উইকেটে ২০৮। টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ব্যাঙ্গালোরের বোলারদের শাসন করতে থাকেন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও শেখর ধাওয়ান। ধাওয়ান কিছুটা দেখে শুনে খেললেও দারুণ ফর্মে থাকা ওয়ার্নার ছিলেন আগের মতই ভয়ঙ্কর।

পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে ৫৯ রান তোলে হায়দরাবাদ। ওয়ার্নার ৩৮ বলে ৬৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ১৩ তম ওভারে শ্রীনাথ অরবিন্দের বলে ইকবাল আবদুল্লাহর তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ৩টি ছক্কা আর ৮টি চারে সাজানো তার ইনিংস। তবে ডেভিড ওয়ার্নার ফিরে যাওয়ার পর মিডল অর্ডারে যুবরাজ সিং ছাড়া অন্য ব্যাটসম্যানরা পারেননি দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে।

যুবরাজ ২ ছক্কা আর ৪ চারে ৩৮ রান করেন ২৩ বলে। শেখর ধাওয়ান করেন ২৫ বলে ২৮ রান। তবে শেষ দিকে বেন কাটিংয়ের ১৫ বলে ৩৯ রানের টর্নেডো ইনিংস দুইশো রান অতিক্রম করতে সাহায্য করেছে দলকে।

ব্যাঙ্গালোরের ইংলিশ পেসার ক্রিস জর্ডান ৪৫ রানে ৩ টি ও শ্রীনাথ অরবিন্দ ৩০ রানে ২ টি উইকেট নিয়েছেন। তবে সবচেয়ে বড় ঝড়টি গেছে অসি অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসনের উপর দিয়ে। তার ৪ ওবারে ৬১ রান নিয়েছে হায়দরাবাদ। ২০ তম ওভারেই ওয়াটসন দিয়েছে ২৪ রান।
f

posted from Bloggeroid

আইপিএলের সেরা মুস্তাফিজ

আইপিএলের সেরা মুস্তাফিজ

ডেস্ক:: নাম ঘোষণা হতেই ছোট মুখে সেই চেনা লাজুক হাসি। ছোট পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়া। মঞ্চে ওঠে আইপিএল চেয়ারম্যানের হাত থেকে নিলেন স্মারক চেক ও ট্রফি। মুস্তাফিজুর রহমান এবারের আইপিএলের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার।

টুর্নামেন্ট জুড়ে মুস্তাফিজের যা পারফরম্যান্স, তাতে এই পুরস্কার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। বাকি ছিল স্রেফ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। ফাইনাল শেষে সেই ঘোষণা এলো। পুরস্কার উঠল মুস্তাফিজের হাতে।

আইপিএলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভোটাভুটিতে ৮৩.২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মুস্তাফিজ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী যোজন যোজন দূরে। বেঙ্গালুরুর লোকেশ রাহুল পেয়েছেন ৬.৫ শতাংশ ভোট। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ক্রুনাল পান্ডিয়া ৩.৭ শতাংশ।

টুর্নামেন্টে স্রেফ একটি ম্যাচই মুস্তাফিজ খেলতে পারেননি হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে। বাকি ১৬ ম্যাচ খেলে উইকেট ১৭টি। যৌথভাবে টুর্নামেন্টের পঞ্চম সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৬.৯০। কমপক্ষে ২০ ওভার বোলিং করাদের মধ্যে যেটি টুর্নামেন্টের সবচেয়ে কিপটে বোলিং।

তবে পরিসংখ্যানই সব কিছু নয়। মুস্তাফিজ আইপিএল মাতিয়েছেন তার জাদুকরী স্কিল দিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাবের বছরেই যেভাবে বিস্ময় ছড়িয়েছিলেন, হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম বড় নাম; প্রথমবার আইপিএলে গিয়েও দেখিয়েছেন নিজের সেই প্রতিভা ও সামর্থ্যের ঝলক। প্রথমবারের মত একা দেশের বাইরে যাওয়া, দীর্ঘসময় থাকা এবং ভাষার দূরত্ব, সব কিছু জয় করেছেন বোলিং সামর্থ্য দিয়ে।

দারুণ স্লোয়ার ও দুর্বোধ্য কাটার তো বরাবরই তার বড় সম্পদ। আইপিএলে দেখিয়েছেন, ইয়র্কারেও কতটা দক্ষ হয়ে উঠেছেন এত দ্রুতই। ২০ বছর বয়সেই রেখেছেন পরিণত ক্রিকেট মস্তিষ্কের প্রমাণ। তার স্কিল ও ক্রিকেট মস্তিষ্কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে টুর্নামেন্ট জুড়ে বর্তমান-সাবেক অনেক তারকা ক্রিকেটার, বিশেষজ্ঞরা।

সব মিলিয়ে যোগ্য হাতেই উঠেছে এই পুরস্কার।


posted from Bloggeroid

সিলেট ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জের নির্বাচনের ফলাফল

সিলেট ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জের নির্বাচনের ফলাফল

ওসমানীনগর(সিলেট)প্রতিনিধি::পঞ্চম ধাপে ২৮মে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উৎসব মুখর পরিবেশে ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জের ১৪টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওসমানীনগরে ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতে বিএনপির ও ১টিতে বিএনপির বিদ্রোহী, ৩টিতে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ও ১টি আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

ওসমানীনগরের উমরপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের এমজি কিবরিয়া(নৌকা) প্রতীক নিয়ে ৪৯৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির এইচ এম রায়হান(ধানের শীষ) প্রতীক ৪২২৫ ভোট পেয়েছেন। সাদীপুরে বিএনপির আব্দুর রব(ধানের শীষ) প্রতীক নিয়ে ৬৮০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামীলীগের কবির উদ্দিন আহমদ(নৌকা) প্রতীক নিয়ে ৬৬৫৬ ভোট পেয়েছেন। পশ্চিম পৈলনপুরে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী আব্দুর হাফিজ এ মতিন গেদাই(আনারস) প্রতীক নিয়ে ৩৯৭৩ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামীলীগের শেরওয়ান আহমদ (নৌকা) প্রতীকে ১৫৮৩ ভোট পেয়েছেন। বুরুঙ্গায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী এমজি রসুল খালেক আহমদ লটই(আনারস) প্রতীক নিয়ে ৪২৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামীলীগের(নৌকা) প্রতীকে ৩৪৪৯ ভোট পেয়েছেন।

গোয়ালাবাজারে বিএনপির বিদ্রোহী আতাউর রহমান মানিক(ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে ৪৮১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামীলীগের পীর মজনু মিয়া(নৌকা) প্রতীকে ৪৩৯৮ ভোট পেয়েছেন। তাজপুরে বিএনপির ইমরান রব্বানী(ধানের শীষ) প্রতীক নিয়ে ৫৪৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামীলীগের অরুনোদয় পাল ঝলক(নৌকা) প্রতীকে ৫২৩৩ ভোট পেয়েছেন। দয়ামীরে বিএনপির এইচ টিএম ফখর উদ্দিন(ধানের শীষ) প্রতীক নিয়ে ৪৪৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র নুর উদ্দিন নুনু(আনারস) প্রতীকে ৪৩০১ ভোট পেয়েছেন। উছমান ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মঈনুল আজাদ ফারুক(আনারস) প্রতীক নিয়ে ৪৪০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামীলীগের নেফা মিয়া(নৌকা) প্রতীক নিয়ে ৩১৮৮ ভোট পেয়েছেন।
বালাগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে ৪টি ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী। অপর ২টি ইউনিয়নে জয়ী হয়েছেন বিএনপির প্রার্থী।
নির্বাচনে উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনহার মিয়া (নৌকা) ৩৬৪৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মোঃ শেখ আলাউদ্দিন রিপন (ধানের শীষ) পেয়েছেন ১৯০২ ভোট।

পশ্চিম গৌরীপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আমিরুল ইসলাম মধু (নৌকা) ২০৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র (চশমা) মোঃ নাসির উদ্দিনের প্রাপ্ত ভোট ১৮০৮।
পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হিমাংশু রঞ্জন দাস (নৌকা) ২১৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী এম. মুজিবুর রহমান (ধানের শীষ) ২০০৪ ভোট পান।

পূর্ব পৈলনপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মোঃ আব্দুল মতিন (নৌকা) ২০৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মোঃ নজরুল ইসলাম জিতু (ধানের শীষ) পেয়েছেন ২০১৭ ভোট।
বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত মোঃ আব্দুল মুনিম (ধানের শীষ) বিজয়ী হয়েছেন ৪৫৮৯ ভোট পেয়ে।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামী লীগ সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মতিন (নৌকা) পেয়েছেন ৩৪৭৩ ভোট।

দেওয়ানবাজার ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত নাজমুল আলম নজমের (ধানের শীষ) প্রাপ্ত ভোট ৬৭১৯। নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজু মিয়া (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ৪৫৩৫ ভোট পান।

posted from Bloggeroid

নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল

নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল

উত্তম কুমার পাল হিমেল, নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)থেকেঃ বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে গতকাল শনিবার নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। সকালে বৃষ্টির মধ্যে ভোটারের উপস্থিতি ছিল তুলনা মুলক কম। বৃষ্টি বন্ধ হলে ভোটারের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। শনিবার সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহন চলে।

শান্তিপূর্ণভাবে নারী-পুরুষ ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করছেন। নির্বচানের বেসরকারী ফলাফলে ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামীলীগ ৬ টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী ২টি বিএনপি ১টি বিএনপি বিদ্রোহী ২ টি স্বতস্ত্র ২ টি ইউনিয়নে জয়ী হয়েছে। বিজয়ীরা হলেন ১ নং বড় ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়নে বিএনপি বিদ্রোহী সতন্ত্র প্রার্থী সত্যজিত দাশ(চশমা) ৩ হাজার ৩ শত ৭১ ভোট, প্রতিদ্বন্ধী পার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান (নৌকা) সমর চন্দ্র দাশ পেয়েছেন ২ হাজার ২ শত ৪১ ভোট, ২নং বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়নে বিএনপি বিদ্রোহী আশিক মিয়া ২ হাজার ৫ শত ৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচতি হয়েছেন,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বর্তমান চেয়ারম্যান মেহের আলী মালদার (নৌকা) পেয়েছেন ২ হাজার ২ শত ৩ ভোট, ৩ নং ইনাতগঞ্জ ইউপিতে স্বতন্ত্র বজলুর রশিদ(আনারস) ৩ হাজার ৯ শত ৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থীছায়েদ উদ্দিন(সতন্ত্র) পেয়েছেন ৩ হাজার ৬ শত ৪২ ভোট, জামাল হোসাইন(নৌকা পেয়েছেন ১ হাজার ৭ শত ১২ ভোট, ৪ নং দীঘলবাক ইউপিতে আওয়ামীলীগের আবু সাঈদ এওলা মিয়া(নৌকা) ৭ হাজার ১ শত ৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী সতন্ত্র ছালিক মিয়া পেয়েছেন ৪ হাজার ৮ শত ৬১ ভোট, ৫নং আউশকান্দি ইউপিতে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মুহিবুর রহমান হারুন সতন্ত্র ৫ হাজার ৫ শত ২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচত হয়েছেন। তার নিকট তম প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান দিলাওয়ার মিয়া নৌকা পেয়েছেন ৩ হাজার ৮ শত ৮৭ ভোট পেয়েছেন।

৬নং কুর্শি ইউপিতে আওয়ামীলীগ প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুস (নৌকা) ৪ হাজার ২ শত ৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদব্ন্দী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ(ধানেরশীষ) পেয়েছেন ৩ হাজার ৫ শত ৮৫ ভোট,আব্দুল বাছিত সতন্ত্র(আনারস) পেয়েছেন ২ হাজার ৭ শত ৭৮ ভোট ৭ নং করগাঁও ইউপিতে বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান ছাইমুদ্দিন (ধানের শীষ) ৭ হাজার ৫ শত ৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী নির্মলেন্দু দাশ রানা(নৌকা) পেয়েছেন ৭ হাজার ২ শত ৩১ ভোট। ৮ নং নবীগঞ্জ সদর ইউপিতে আওয়ামীলীগের প্রার্থী সাজু আহমদ চৌধুরী(নৌকা) ৫ হাজার ১ শত ৫৫ বোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মুক্তাদির চৌধুরী(ধানেরশীষ) পেয়েছেন ৪ হাজার ৩ শত ৯০ ভোট। ৯ নং বাউশা ইউপিতে উপজেরা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আবু সিদ্দিক(নৌকা) ৫ হাজার ৮ শত ৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম সতন্ত্র প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ডেইজি (আনারস) পেয়েছেন ৩ হাজার ৫ শত ১৮ ভোট, বর্তমান চেয়ারম্যান সতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার মিয়া পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৫ ভোট। ১০নং দেবপাড়া ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান এড. জাবিদ আলী(ঘাড়া) প্রতিকে ৪ হাজার ১ শত ৪৭ বোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী সতস্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আ,ক,ম ফখরুল ইসলাম কালাম পেয়েছেন ৩ হাজার ৭ শত ৬৮ ভোট। বিএনপির প্রার্থী আমির হোসেন পেয়েছন ২ শত ৮৮ ভোট। ১১নং গজনাই পুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ প্রার্থী উপজেরা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ইমদাদুর রহমান মুকুল (নৌকা) ৪ হাজার ৯ শত ৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সতন্ত্র প্রার্থী(আনারস) আবুল খয়ের গোলাপ পেয়েছেন ৪ হাজার ১ শত ২৮ ভোট, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহনেওয়া(চশমা) পেয়েছেন ৩ হাজার ৬ শত ৭ ভোট। ১২ নং কালিয়ারভাঙ্গ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সতন্ত্র প্রার্থী(আওয়ামীলীগ বিদ্রহী) মোঃ নজরুল ইসলাম (ঘাড়া) ৩ হাজার ৭ শত ২৬ ভেট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরী(নৌকা) পেয়েছেন ৩ হাজার ৫ শত ৯৯ ভোট।

১৩ নং পানিউমদা ইউপিতে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ ইজাজুর রহমান(নৌকা) ৪ হাজার ১ শত ৪০ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধীপ্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান)ঘোড়া) পেয়েছেন ৩ হাজার ৮ শত ৬ ভোট। ১৩ টি ইউনিয়নের ১ শত ৩২ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮১ ঝুকিপূর্ন
কেন্দ্রে পুলিশের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি ও র‌্যাব স্ট্র্যাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করে। নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অনুষ্টিত ভোট কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন হবিগঞ্জ জেলা প্রমাসক সাবিনা আলম। এ সময় তার সাথে ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ,উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু সাইম,নবীগহ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি প্রভাষক উত্তম কুমার পাল হিমেল,দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার প্রকাশক মোঃ সেলিম মিয়া তালুকদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
১৩টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ২ লাখ ৯ হাজার ৭শত ১৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২ হাজার ৬শত ৭১ জন এবং মহিলা ১ লাখ ৭ হাজার ৪৭ জন

posted from Bloggeroid

জলদি অনলাইনে পাসপোর্ট তৈরি করে নিন আর ভিসা ছড়াই বিদেশ ঘুরে আসুন

জলদি অনলাইনে পাসপোর্ট তৈরি করে নিন আর ভিসা ছড়াই বিদেশ ঘুরে আসুন

আজ আমি আপনাদের দুইটি জিনিস শেয়ার করব:

ক) কিভাবে অনলাইনে পাসপোর্ট করা যায়,
খ) ভিসা ছাড়া বিদেশ ভ্রমন।
ক) অনলাইনে পাসপোর্টের ফর্ম পূরণ করে পাসপোর্ট অফিসে ফর্ম জমা দিয়ে ছবি তুলতে সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিট, তাও বিনা ঘুষে! জি , আমি সত্য কথা বলছি।

আসুন আমরা জেনে নেই কিভাবে অনলাইনে পাসপোর্ট করা যায়
➡ ১ম ধাপঃ

এই পেজ এ যান (Click Here for Link)

অনলাইনে ফর্মটি ফিলআপ করুন এবং প্রিন্টআউট নিন।

➡ ২য় ধাপঃ

পাসপোর্ট এর ফর্মটি, আপনার ন্যাশনাল আইডি এবং পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এর ফটোকপি (যদি থাকে) সত্যায়িত করে পাসপোর্ট অফিসে চলে যান।

➡ ৩য় ধাপঃ

পাসপোর্ট অফিসের পাশে সোনালী ব্যঙ্ক এ । জরুরী পাসপোর্ট করতে চাইলে ৬০০০ টাকা আর সাধারনভাবে করতে চাইলে ৩০০০ টাকা জমা দিন। রশিদটি আঠা দিয়ে ফর্মের উপর সংযজন করুন।

➡ ৪র্থ ধাপঃ

এবার পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি ফর্ম টি ভেরিফাই করিয়ে নিন। তারা আপনার ফর্ম এর উপর সই করে একটি সিরিয়াল নম্বর লিখে দিবে।

➡ ৫ম ধাপঃ

এবার সরাসরি চলে যান উপ কমিশনারের রুমে এবং তাকে দিয়ে ফর্ম টি ভেরিফাই করিয়ে নিন।এখানে থেকে ভেরিফিকেসন করার পর পাঠিয়ে দিবে পাশের কাউন্টারের রুমে ছবি তুলতে।

➡ ৬ষ্ঠ ধাপঃ

ছবি তুলতে সজা এই কাউন্টারে গিয়ে আপনার ফর্মটি জমা দিন। সেখানে অফিসার আপনার ছবি তুলবে, আঙ্গুলের ছাপ ও স্বাক্ষর নিবে এবং তারপর আপনাকে রশিদ ধরিয়ে দিবে। সেটা ভালো মত চেক করে রুম থেকে বেরিয়ে আসুন।

ব্যাস… আপনার ফর্ম জমা দেয়া শেষ। যেদিন পাসপোর্ট দেয়ার ডেট, সেদিন পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে রশিদ দেখিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন।

মনে রাখবেনঃ

অবশ্যই বাসা থেকে সত্যায়িত করে নিয়ে যাবেন।
NID এর সত্যায়িত ফটোকপি এবং পুরানো পাসপোর্টের (যদি থাকে) ফটোকপি নিয়ে যাবেন।
সাদা কাপড় পড়ে ছবি তোলা যাবে না।
অনলাইন পাসপোর্টের অফিসিয়াল নির্দেশনা ২০১৩

খ) ভিসা ছাড়া বিদেশ ভ্রমন:
এবার তাহলে দেখে নেয়া যাক বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে কোন কোন দেশে বেড়াতে যাওয়া যাবে আগে থেকে ভিসা না নিয়ে। এর মাঝে বেশির ভাগ দেশে যেতে গেলে কেবল টিকেট করে চলে গেলেই হবে, পর্যটক ভিসা আপনাকে ওই দেশের এয়ারপোর্টে দেয়া হবে। আর কোনো কোনো দেশে তাও লাগে না, বাংলাদেশী পাসপোর্ট দেখিয়েই ওই দেশে ঢুকে যেতে পারবেন। দেশভেদে এই সব দেশে ৫ থেকে ১২০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন। অল্প কয়টি দেশ আছে যেখানে আপনার থাকার কোনো সীমা বেধে দেয়া নেই। প্রয়োজন হলে যাওয়ার আগে সংশ্লিস্ট দেশের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে পারেন।

বিশ্বের এমন কিছু দেশ আছে যেখানে যেতে ভিসার প্রয়োজন নেই, শুধু বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকলেই হবে। আর এমন কিছু দেশ আছে যেখানে ল্যান্ড করার পরে এয়ারপোর্ট থেকে (on arrival) ভিসা পাওয়া যায়, তবে কোন কোন দেশের ক্ষেত্রে অবশ্য ফি দিতে হয়।

ভিসা ছাড়া যাওয়া যাবে এবং অবস্থান করা যাবে এমন দেশগুলো হচ্ছে

এশিয়া মাহাদেশের মধ্যে

ভুটান (যত দিন ইচ্ছা),
শ্রীলংকা (৩০ দিন),
আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে

কেনিয়া (৩ মাস),
মালাউই (৯০ দিন),
সেশেল (১ মাস),
আমেরিকা মাহাদেশের মধ্যে

ডোমিনিকা (২১ দিন),
হাইতি (৩ মাস),
গ্রানাডা (৩ মাস),
সেন্ট কিট্‌স এ্যান্ড নেভিস (৩ মাস),
সেন্ড ভিনসেন্ট ও গ্রানাডাউন দ্বীপপুঞ্জ (১ মাস),
টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ (৩০ দিন),
মন্টসের্রাট (৩ মাস),
ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপমালা (৩০ দিন),
ওশেনিয়া মাহাদেশের মধ্যে ফিজি (৬ মাস),
কুক দ্বীপপুঞ্জ (৩১ দিন),
নাউরু (৩০ দিন),
পালাউ (৩০ দিন),
সামোয়া (৬০ দিন),
টুভালু (১ মাস),
নুউ (৩০ দিন),
ভানুয়াটু (৩০ দিন) এবং
মাক্রোনেশিয়া তিলপারাষ্ট্র (৩০ দিন) অন্যতম।
এছাড়াও যেসব দেশে প্রবেশের সময় (on arrival) ভিসা পাওয়া যাবে সেগুলো হচ্ছে

এশিয়ার মধ্যে

আজারবাইজান (৩০ দিন, ফি ১০০ ডলার),
জর্জিয়া (৩ মাস),
লাউস (৩০ দিন, ফি ৩০ ডলার),
মালদ্বীপ(৩০ দিন), মাকাউ (৩০ দিন),
নেপাল (৬০ দিন, ফি ৩০ ডলার),
সিরিয়া (১৫ দিন),
পূর্ব তিমুর (৩০ দিন, ফি ৩০ ডলার),
আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে
বুরুন্ডি, কেপ ভার্দ, কোমোরোস, জিবুতি (১ মাস, ফি ৫০০ জিবুতিয়ান ফ্রাঙ্ক),
মাদাগাস্কার (৯০ দিন, ফ্রি ১,৪০,০০০ এমজিএ),
মোজাম্বিক (৩০ দিন, ফি ২৫ ডলার),
টোগো (৭ দিন, ফি ৩৫,০০০ এক্সডিএফ) এবং
উগান্ডা (৩ মাস, ফি ৩০ ডলার)
তবে বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট রওনা হবার সময় কিছু সুযোগ সন্ধানী অফিসার ভিসা নেই বা আপনার সমস্যা হবে এই মর্মে হয়রানি করতে পারে টু-পাই কামানোর জন্য। কেউ এসব দেশে বেড়াতে যেতে চাইলে টিকিট কেনার সময় আরো তথ্য জেনে নিতে পারেন।

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।

posted from Bloggeroid

পাসপোর্ট করার সহজ নিয়মাবলী যেনে নিন

পাসপোর্ট করার সহজ নিয়মাবলী যেনে নিন

পাসপোর্ট করার সহজ নিয়মাবলী
পাসপোর্ট ছাড়া আপনি কি নিজকে বাংলাদেশী নাগরিক ভাবতে পারেন।নিজের পাসপোর্ট থাকা জরুরী। পত্রিকা পড়ে অনেকের পাসপোর্ট করা নিয়ে ভিতি ভাব আছে । অফিসিয়াল ব্যাপারগুলো আত্মবিশ্বাসের সাথে করলে একটা না একটা উপায় সহজভাবেই বের হয়ে আসে। বর্তমানে অনলাইনে পাসপোট ফরম জমা দিলে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয় না । পরে নিধারিত সময়ে দালালের খপ্পড় বা পাসপোর্ট অফিসের কারো কোন সমস্যার ছাড়াই একদম সরাসরি যেয়ে ছবি তুলে ও ফিঙ্গারিং করা যায়।
এতে অনাহুত খরচের বালাই নেই।

যারা অনলাইনে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট করতে যাচ্ছেন, তাদের জন্য ব্যাপারটাকে আরো সহজ করে তোলার জন্য এই পোস্ট।

আপনিও খুব সহজেই পারবেন। কারণ অনলাইনে পাসপোর্ট পাওয়া অনেক অনেক সহজ একটা কাজ যদি একটু জানা থাকে । পাসপোর্ট হাতে পাওয়াসহ সব মিলিয়ে আপনাকে মাত্র তিনদিন যেতে হবে ।আর সাথে টুকিটাকি যদি জানা থাকে তাহলে আর কথাই নেই ।

আসেন, একদম শুরু থেকে শুরু করি অনলাইনে পাসপোর্ট ফর্ম পূরণ করা এবং পরের ধাপের কাজগুলো নিয়ে।

প্রথম ধাপ : ব্যাংকে টাকা জমা দেয়া

সোনালী ব্যাংকের কলেজ গেইট শাখায় পাসপোর্ট আবেদনের ফি হিসাবে টাকা জমা দিতে হবে। রেগুলার ফি ৩০০০/- টাকা ( ১ মাসের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে হলে) আর ইমারজেন্সি ফি ৬০০০/- টাকা ( ১৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে হলে) ।

প্রথমেই টাকা জমা দেয়া প্রয়োজন এই কারণে যে , অনলাইনে ফর্ম পূরণ করার সময় টাকা জমা দেয়ার তারিখ এবং জমাদানের রিসিটের নাম্বার উল্লেখ করার প্রয়োজন হবে। তাই টাকা আগে জমা দেয়া থাকলে একবারেই ফর্ম পূরণ করা হয়ে যাবে।

টিপস -ভুলেও আবার আগারগাঁও সোনালী ব্যাংকের শাখায় গেলে - - - - - । সোনানী ব্যাংকের কলেজ গেইট শাখায় বেশ দ্রুত টাকা জমা দেয়া যায় , কারণ এইখানে ভিড়টা কম । আপনার সুবিধামত সোনালী ব্যাংকের শাখায় / ব্রাঞ্চে টাকা জমা দিয়ে রিসিট বুঝে নিন ।

লাইনে দাঁড়ালে ব্যাংকের কাজ শুরুর আগেই ব্যাংকের লোকজন রিসিট দিয়ে যাবে। বা নিজেই টাকা দেয়ার রিসিট সংগ্রহ করে নিন । রিসিট পেলে ইংরেজি ব্লক লেটার স্পষ্টভাবে পূরণ করুন। সাথে অবশ্যই কলম রাখুন।
( আমি যখন টাকা জমা দিয়েছিলাম , তখন আগারগাঁও ব্রাঞ্চ এ টাকা জমা নিত , এখন খোঁজ নিয়ে দেখলাম সেখানে টাকা জমা নেয়া বন্ধ ! এছাড়া অনলাইনে যেসব ব্রাঞ্চের লিস্টগুলো আছে , তার অনেকগুলোতেই টাকা জমা নেয় না । তাই ঢাকায় থাকলে কলেজ গেইট ব্রাঞ্চেই যাওয়া বেটার)

দ্বিতীয় ধাপ - অনলাইনে ফর্ম পূরণ

অনলাইনে ফরম পূরণের জন্য প্রথমেই যান পাসপোর্ট অফিসের এই সাইটে - http://www.passport.gov.bd/http://www.passport.gov.bd/ । নির্দেশনা ভালোভাবে দেখুন , সতর্কতার সাথে একাউন্ট করুন । আপনার নাম ও ব্যক্তিগত তথ্যাদি ( যেমন নামের বানান, প্যারেন্টস এর নাম ) যেন শিক্ষাগত সার্টিফিকেটের মতই হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। টাকা জমা দেয়ার তারিখ এবং রিসিট নাম্বার উল্লেখ করুন।

সবশেষে আপনি যেদিন ছবি তোলা ও হাতের ছাপ দেয়ার জন্য বায়োমেট্রিক টেস্ট দিতে যেতে চান, সুবিধামত সেইদিনটা নির্বাচন করে সাবমিট করুন। অর্থ্যাৎ আপনি নিজের পছন্দসই সময়েই যেতে পারছেন ! ব্যাপারটা খু্বই মজার না !

পুনরায় চেক করার পর সবশেষে সাবমিট করুন । সফলভাবে সাবমিশন শেষ হলে পূরণকৃত ফর্মের একটি পিডিএফ কপি আপনার মেইলে চলে আসবে । এইধাপ এইখানেই শেষ।

টিপস 1 – অনলাইনে একাউন্ট খোলার পরপরই আপনাকে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড জানিয়ে দেবে । সেটা সংরক্ষণ করুন। আর ছবি তোলার জন্য যেদিন সময় দেবেন সেদিনটা ফ্রি রাখবেন। সময় লাগতেও পারে এই দিনে যদি মানুষ বেশী হয় ।


তৃতীয় ধাপ – জমা দেয়ার আগে ফর্মের প্রিন্ট এবং সত্যায়ন আপনার পূরণকৃত ফর্মের যেই পিডিএফ কপিটা পেয়েছেন, সেটার ২ কপি কালার প্রিন্ট করে ফেলুন। যেসব জায়গা হাতে পূরণ করতে হবে সেগুলো করে ফেলুন । আপনার সাইন দিন। এবার নিজের চারকপি ছবি , জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট ফর্ম নিয়ে পরিচিত কোন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার কাছ থেকে সত্যায়িত করে নিন। পরিচিত কাউকে দিয়ে সসত্যায়ন করানো দরকার এই কারণে যে, ঐ কর্মকর্তার নাম , যোগাযোগ ও ফোন নাম্বার ফর্মে লিখতে হয়। সত্যায়ন শেষে পুরো ফর্মটি রিচেক করুন।

সত্যায়িত ছবি এবং ব্যাংকের রিসিট আঠা দিয়ে ফর্মের সাথে যুক্ত করুন। সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপিটি নিন। আপনার ফর্ম জমা এখন দেয়ার জন্য প্রস্তুত।

টিপস 2 – ফর্মের প্রিন্ট করার সময় এক কপি এক্সট্রা করুন। ব্যাকআপ থাকা ভালো । আমার প্রথম পেজ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। শেষ সময়ে ব্যাকআপ কপির প্রথম পেইজ দিয়ে দিয়েছি।
ছবি দুই কপি লাগলেও এক্সট্রা দুই কপি করিয়ে রাখা ভালো , পাসপোর্ট অফিসে চেয়ে বসে মাঝে মাঝে। একই কথা জাতীয় পরিচয়পত্রের ব্যাপারেও।

চতুর্থ ধাপ – ছবি তোলা এবং অন্যান্য আপনার নির্বাচন করা তারিখে সকাল সকাল পাসপোর্ট অফিসে চলে যান । অবশ্যই সাদা পোষাক পরবেন না , ফর্মাল পোষাক পরার চেষ্টা করুন।

সকাল ৯ টার দিকে গেলেই হবে। কোন লাইনে দাঁড়াতে হবে না আপনাকে । সরাসরি মেইন গেইট দিয়ে মূল অফিসে যান। সেখানে দায়িত্বরত সেনা সদস্যকে জিজ্ঞেস করুন কোন রুমে যাবেন ।

প্রথমে আপনাকে আটতলায় যেয়ে ফর্ম দেখিয়ে আনতে হবে। খুবই অল্প সময়ের কাজ । ৮০৩ নাম্বার রুম । সিরিয়াল নেবেন। এবার ৮ তলার থেকে আসতে বলবে ৩ তলায় । সেখানে এসেই আসল কাজ । প্রথমে আপনার ফর্মটি চেক করবে এবং সাইন করে দেবে। সাইন শেষে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে ছবি তোলার জন্য কোন রুমে যাবে। ঐ রুমগুলো ঠিক পাশেই। সিরিয়াল আসলে ছবি তুলুন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিন। ব্যস , কাজ শেষ !

এবার আপনাকে পাসপোর্ট রিসিভের একটা রিসিট দেবে। সেটা যত্ন করে রাখুন । পুলিশ ভেরিফিকেশান সাপেক্ষে, রিসিট পাওয়ার একমাস বা ১৫ দিনের মধ্যেই আপনি পাসপোর্ট পাবেন ।

আমার টিপস – আবারো বলছি , সাদা পোষাক পরবেন না , ফর্মাল পোষাক পরার চেষ্টা করুন।

আর সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপিসহ সত্যায়িত কপিগুলো নিয়ে যান। তিনতলায় যেয়ে সেখানকার সেনাসদস্যের কাছ থেকে দেখিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন , সব সংযুক্তি ঠিক আছে কিনা। সাথে অবশ্যই কলম রাখুন। আঠা, স্ট্যাপলার, এক্সট্রা ছবিও সাথে রাখুন।

আর যারা সরকারী কর্মকর্তা বা শিশুসহ যাচ্ছেন , তাদের কিছু আলাদা কাগজ লাগবে । সেটার জন্য নির্দেশনা দেখুন । কিংবা ৮০৩ এ যোগাযোগ করুন।

পঞ্চম ধাপ – পুলিশ ভেরিফিকেশান ও পাসপোর্ট রিসিভ ডেট ( টিপস সহ)

পুলিশ ভেরিফিকেশানই আমার কাছে ঝামেলার মনে হয়েছে। যদি আপনার স্থায়ী আর বর্তমান ঠিকানা আলাদা হয় , তবে দুই জায়গাতেই আপনার ভেরিফিকেশান হয়ে থাকে। পুলিশের এস বি ( স্পেশাল ব্রাঞ্চ) এই কাজটা করে থাকে।

এবং এইটা করতে যেয়ে পুলিশ বখশিশ হিসাবে টাকা চেয়ে বসে। খুবই ইরিটেটিং একটা ব্যাপার । সেটা ৫০০-১০০০ পর্যন্ত হতে পারে !!!!!

তবে স্ট্রিক্ট থাকলে এটা এড়ানো সম্ভব। আপনি কীভাবে তাদের ফেইস করছেন সেটার উপর নির্ভর করে। সরাসরি বলে দিতে পারেন যে, এইটা আপনার দায়িত্ব, তো টাকা দেয়ার প্রশ্ন কেন। কিংবা বলতে পারেন যে, আপনি ছাত্র , টাকা দেয়া সম্ভব না । ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি !

যাই হোক, ভেরিফিকেশান শেষ হলে আপনার মোবাইলে এস এম এস আসবে। যেদিন এস এম এস আসবে তারপরেই আপনি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।

ব্যস, এইবার পাসপোর্ট হাতে নেয়ার পালা।

ষষ্ঠ ধাপ –পাসপোর্ট সংগ্রহ

এইখানে কাজ সহজ । পাসপোর্ট অফিসে চলে যান। লাইনে দাঁড়ান।
সাথে রিসিট আর কলম রাখুন । ৯ টার দিকে গেইট খুলবে। লাইন ধরে প্রবেশ করুন। রিসিট জমা দিন। অপেক্ষা করুন।

এবার আপনার নাম ডাকবে । সাইন করুন , বুঝে নিন আপনার পাসপোর্ট ।

টিপস 3 – হাতে পেয়েই সবার আগে চেক করুন আপনার ইনফোগুলো ঠিক এসেছে কিনা। নিজের এবং পিতামাতার নাম , ঠিকানা এবং অন্যান্যসব তথ্যগুলো মিলিয়ে নিন।

এই হচ্ছে একটি ঝামেলাবিহীন পাসপোর্টের আত্মকাহিনী বা আমি যেভাবে খুব সহজেই পাসপোর্ট পেলাম এর আদ্যোপান্ত । আশা করি কাজে লাগবে।
সবার জন্য শুভকামনা। হ্যাপি পাসপোর্টিং !

সংযুক্তি -

০১) আপনার বর্তমান ঠিকানা যদি ঢাকা হয় , তাহলে এখান থেকেই পাসপোর্ট করতে পারেন । আলাদা করে দেশের বাড়ির জেলা অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না ।

০২) ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার জন্য যে স্লিপ লাগে , সেখানে আলাদা একাউন্ট নম্বরের প্রয়োজন নেই ।নতুন পাসপোর্ট করা বা রিনিউ এর জন্য আলাদা স্লিপই থাকে ।

০৩) GO: Government order

NOC: NO Objection Certificate

PDS: Proof of retired Date


সরকারী, আধাসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্থায়ী কর্মকর্তা/কর্মচারী, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী চাকুরীজীবীরা এই ঘর পুরণ করবেন। আর কমেন্ট থেকে জানা গেল যে সরকারী কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট নীল রঙের । পুলিশ ভেরিফিকেশান এর ঝামেলা নাই ।

এই পোস্ট ভাল লাগলে কমেন্টে জানান দিয়েন প্লিজ । ধন্যবাদ ।

সূত্র - ইকারুসের ডানা, সামহোয়ার ব্লগ।

posted from Bloggeroid

ইসলামের দৃষ্টিতে যে সব নাম রাকা হারাম যেনে নিন

ইসলামের দৃষ্টিতে যে সব নাম রাকা হারাম যেনে নিন

শিশুর জন্মের পর তার জন্য একটি সুন্দর
ইসলামী নাম রাখা প্রত্যেক মুসলিম
পিতা-মাতার কর্তব্য। মুসলিম বিশ্বের
অন্যান্য অঞ্চলের মুসলিমদের ন্যায়
বাংলাদেশের মুসলিমদের মাঝেও
ইসলামী সংস্কৃতি ও মুসলিম ঐতিহ্যের
সাথে মিল রেখে শিশুর নাম নির্বাচন
করার আগ্রহ দেখা যায়।
এজন্য তারা নবজাতকের নাম
নির্বাচনে পরিচিত আলেম-
ওলামাদের শরণাপন্ন হন। তবে সত্যি
কথা বলতে কী এ বিষয়ে আমাদের
পড়াশুনা একেবারে অপ্রতুল। তাই
ইসলামী নাম রাখার আগ্রহ থাকার
পরও অজ্ঞতাবশত আমরা এমনসব নাম
নির্বাচন করে ফেলি যেগুলো আদৌ
ইসলামী নামের আওতাভুক্ত নয়। শব্দটি
আরবী অথবা কুরআনের শব্দ হলেই
নামটি ইসলামী হবে তাতো নয়।
কুরআনে তো পৃথিবীর নিকৃষ্টতম
কাফেরদের নাম উল্লেখ আছে।
ইবলিস, ফেরাউন, হামান, কারুন, আবু
লাহাব ইত্যাদি নাম তো কুরআনে
উল্লেখ আছে; তাই বলে কী এসব
নামে নাম বা উপনাম রাখা সমীচীন
হবে?
ব্যক্তির নাম তার স্বভাব চরিত্রের
উপর ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক
প্রভাব ফেলে বলে বর্ণিত আছে।
শাইখ বকর আবু যায়েদ বলেন, ঘটনাক্রমে
দেখা যায় ব্যক্তির নামের সাথে
তার স্বভাব ও বৈশিষ্ট্যের মিল
থাকে। এটাই আল্লাহর তা‘আলার
হেকমতের দাবী। যে ব্যক্তির নামের
অর্থে চপলতা রয়েছে তার চরিত্রেও
চপলতা পাওয়া যায়। যার নামের
মধ্যে গাম্ভীর্যতা আছে তার
চরিত্রে গাম্ভীর্যতা পাওয়া যায়।
খারাপ নামের অধিকারী লোকের
চরিত্রও খারাপ হয়ে থাকে। ভাল
নামের অধিকারী ব্যক্তির চরিত্রও
ভাল হয়ে থাকে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম কারো ভাল নাম শুনে
আশাবাদী হতেন। হুদাইবিয়ার
সন্ধিকালে মুসলিম ও কাফের
দুইপক্ষের মধ্যে টানাপোড়নের এক
পর্যায়ে আলোচনার জন্য কাফেরদের
প্রতিনিধি হয়ে সুহাইল ইবনে ‘আমর
নামে এক ব্যক্তি এগিয়ে এল তখন
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম সুহাইল নামে
আশাবাদী হয়ে বলেন:
সুহাইল তোমাদের জন্য সহজ করে
দিতে এসেছেন। সুহাইল শব্দটি সাহলুন
(সহজ) শব্দের ক্ষুদ্রতানির্দেশক রূপ। যার
অর্থ হচ্ছে- অতিশয় সহজকারী। বিভিন্ন
কবিলার ভাল অর্থবোধক নামে রাসূল
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম
আশাবাদী হওয়ার নজির আছে।
তিনি বলেছেন, গিফার (ক্ষমা করা)
কবিলা তথা গোত্রের লোকদেরকে
আল্লাহ ক্ষমা করে দিন। আসলাম
(আত্মসমর্পণকারী/শান্তিময়) কবিলা
বা গোত্রের লোকদেরকে আল্লাহ
শান্তি দিন।
নিম্নে নবজাতকের নামের ক্ষেত্রে
কিছু নীতিমালা দেয়া হল
নবজাতকের নাম রাখার সময়কালের
ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে
তিনটি বর্ণনা রয়েছে। শিশুর জন্মের
পরপরই তার নাম রাখা। শিশুর জন্মের
তৃতীয় দিন তার নাম রাখা। শিশুর
জন্মের সপ্তম দিন তার নাম রাখা। এর
থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ইসলাম
এ বিষয়ে মুসলিমদেরকে অবকাশ
দিয়েছে। যে কোনোটির উপর আমল
করা যেতে পারে। এমনকি কুরআনে
আল্লাহ তা‘আলা কোনো কোনো
নবীর নাম তাঁদের জন্মের পূর্বে
রেখেছেন মর্মে উল্লেখ আছে।
আল্লাহর নিকট সবচেয়ে উত্তম নাম
হচ্ছে আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান। সহীহ
মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে রাসূল
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেন – ﺇِﻥَّ ﺃَﺣَﺐَّ ﺃَﺳْﻤَﺎﺋِﻜُﻢْ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻭَﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ
অর্থ-তোমাদের নামসমূহের মধ্যে
আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে-
আব্দুল্লাহ (আল্লাহর বান্দা) ও আব্দুর
রহমান (রহমানের বান্দা)।”
এ নামদ্বয় আল্লাহর প্রিয় হওয়ার কারণ
হল- এ নামদ্বয়ে আল্লাহর দাসত্বের
স্বীকৃতি রয়েছে। তাছাড়া আল্লাহর
সবচেয়ে সুন্দর দুটি নাম এ নামদ্বয়ের
সাথে সম্বন্ধিত আছে। একই কারণে
আল্লাহর অন্যান্য নামের সাথে
আরবী ‘আব্দ’ (বান্দা বা দাস)
শব্দটিকে সমন্ধিত করে নাম রাখাও
উত্তম।
যে কোনো নবীর নামে নাম রাখা
ভাল। যেহেতু তাঁরা আল্লাহর
মনোনীত বান্দা। হাদিসে এসেছে
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন- তোমরা
আমার নামে নাম রাখ। আমার
কুনিয়াতে (উপনামে) কুনিয়ত রেখো
না। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর কুনিয়ত ছিল- আবুল
কাসেম। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তাঁর নিজের সন্তানের
নাম রেখেছিলেন ইব্রাহিম। কুরআনে
কারীমে ২৫ জন নবী-রাসূলের নাম
বর্ণিত আছে মর্মে আলেমগণ উল্লেখ
করেছেন। এর থেকে পছন্দমত যে
কোনো নাম নবজাতকের জন্য নির্বাচন
করা যেতে পারে।
ইসলামে যেসব নাম রাখা হারাম:
আল্লাহর নাম নয় এমন কোনো নামের
সাথে গোলাম বা আব্দ (বান্দা)
শব্দটিকে সম্বন্ধ করে নাম রাখা
হারাম।যেমন- আব্দুল ওজ্জা (ওজ্জার
উপাসক), আব্দুশ শামস (সূর্যের উপাসক),
আব্দুল কামার (চন্দ্রের উপাসক), আব্দুল
মোত্তালিব (মোত্তালিবের দাস),
আব্দুল কালাম (কথার দাস), আব্দুল
কাবা (কাবাগৃহের দাস), আব্দুন নবী
(নবীর দাস), গোলাম রসূল (রসূলের দাস)
, গোলাম নবী (নবীর দাস), আব্দুস শামছ
(সূর্যের দাস), আব্দুল কামার (চন্দ্রের
দাস), আব্দুল আলী (আলীর দাস), আব্দুল
হুসাইন (হোসাইনের দাস), আব্দুল আমীর
(গর্ভনরের দাস), গোলাম মুহাম্মদ
(মুহাম্মদের দাস), গোলাম আবদুল
কাদের (আবদুল কাদেরের দাস)
গোলাম মহিউদ্দীন (মহিউদ্দীন এর
দাস) ইত্যাদি। তবে আমাদের দেশের
প্রেক্ষাপটে দেখা যায় নামের
মধ্যে ‘আব্দ’ শব্দটা থাকলেও ডাকার
সময় ‘আব্দ’ শব্দটা ছাড়া ব্যক্তিকে
ডাকা হয়। যেমন আব্দুর রহমানকে
ডাকা হয় রহমান বলে। আব্দুর রহীমকে
ডাকা হয় রহীম বলে। এটি অনুচিত। আর
যদি দ্বৈত শব্দে গঠিত নাম ডাকা
ভাষাভাষীদের কাছে কষ্টকর ঠেকে
সেক্ষেত্রে অন্য নাম নির্বাচন
করাটাই শ্রেয়। এমনকি অনেক সময়
আল্লাহর নামকে বিকৃত করে ডাকার
প্রবণতাও দেখা যায়। এ বিকৃতির
উদ্দেশ্য যদি হয় আল্লাহকে হেয় করা
তাহলে ব্যক্তির ঈমান থাকবে না। আর
এই উদ্দেশ্য না থাকলেও এটি করা
অনুচিত।
দুই: অনুরূপভাবে যেসব নামকে কেউ
কেউ আল্লাহর নাম মনে করে ভুল করেন
অথচ সেগুলো আল্লাহর নাম নয় সেসব
নামের সাথে আব্দ বা দাস শব্দকে
সম্বন্ধিত করে নাম রাখাও হারাম।
যেমন- আব্দুল মাবুদ (মাবুদ শব্দটি আল্লহর
নাম হিসেবে কুরআন ও হাদীছে
আসেনি; বরং আল্লাহর বিশেষণ
হিসেবে এসেছে), আব্দুল মাওজুদ
(মাওজুদ শব্দটি আল্লহর নাম হিসেবে
কুরআন ও হাদীছে আসেনি)।
তিন: মানুষ যে উপাধির উপযুক্ত নয়
অথবা যে নামের মধ্যে মিথ্যাচার
রয়েছে অথবা অসার দাবী রয়েছে
এমন নাম রাখা হারাম।যেমন-
শাহেনশাহ (জগতের বাদশাহ) বা
মালিকুল মুলক (রাজাধিরাজ) নাম বা
উপাধি হিসেবে নির্বাচন করা।
সাইয়্যেদুন নাস (মানবজাতির নেতা)
নাম রাখা।একই অর্থবোধক হওয়ার
কারণে মহারাজ নাম রাখাকেও
হারাম বলা হয়েছে।
চার: যে নামগুলো আল্লাহর জন্য খাস
সেসব নামে কোন মাখলুকের নাম
রাখা বা কুনিয়ত রাখা হারাম।
যেমন- আল্লাহ, আর-রহমান, আল-হাকাম,
আল-খালেক ইত্যাদি। তাই এসব নামে
কোন মানুষের নাম রাখা সমীচীন নয়।
পক্ষান্তরে আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে
যেগুলো শুধু আল্লাহর জন্য খাস নয়; বরং
সেগুলো আল্লাহর নাম হিসেবেও
কুরআন হাদিসে এসেছে এবং
মাখলুকের নাম হিসেবেও এসেছে
সেসব নাম দিয়ে মাখলুকের নাম
রাখা যেতে পারে। কুরআনে
এসেছে-
ﻗَﺎﻟَﺖِ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓُ ﺍﻟْﻌَﺰِﻳﺰِ
অর্থ- আলআযিযের স্ত্রী বলেছেন
”[সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৫১
যেসব নাম রাখা মাকরুহ
এমন শব্দে দিয়ে নাম রাখা যার
অনুপস্থিতিকে মানুষ কুলক্ষণ মনে করে।
যেমন- কারো নাম যদি হয় রাবাহ
(লাভবান)। কেউ যদি রাবাহকে
ডাকে, আর রাবাহ বাড়ীতে না-
থাকে তখন বাড়ীর লোকদেরকে
বলতে হবে রাবাহ বাড়ীতে নেই। এ
ধরনের বলাকে সাধারণ মানুষ কুলক্ষণ
মনে করে। অনুরূপভাবে আফলাহ
(সফলকাম), নাজাহ (সফলতা) ইত্যাদির
নামের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। নবী
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম
এর ধরনের নাম রাখতে নিষেধ
করেছেন। পরবর্তীতে নিষেধ না করে
চুপ থেকেছেন।
যেসব নামের মধ্যে আত্মস্তুতি আছে
সেসব নাম রাখা মাকরুহ। যেমন, মুবারক
(বরকতময়) যেন সে ব্যক্তি নিজে দাবী
করছেন যে তিনি বরকতময়, হতে পারে
প্রকৃত অবস্থা সম্পূর্ণ উল্টো। অনুরূপভাবে,
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এক মহিলা সাহাবীর
নাম র্বারা (পূন্যবতী) থেকে পরিবর্তন
করে তার নাম দেন যয়নব। এবং বলেন:
তোমরা আত্মস্তুতি করো না। আল্লাহই
জানেন কে পূন্যবান।
দাম্ভিক ও অহংকারী শাসকদের
নামে নাম রাখা। যেমন- ফেরাউন,
হামান, কারুন, ওয়ালিদ। শয়তানের
নামে নাম রাখা। যেমন- ইবলিস,
ওয়ালহান, আজদা, খিনজিব, হাব্বাব
ইত্যাদি।
যে সকল নামের অর্থ মন্দ। মানুষের
স্বাভাবিক রুচিবোধ যেসব শব্দকে
নাম হিসেবে ঘৃণা করে; ভদ্রতা ও
শালীনতার পরিপন্থী কোন শব্দকে
নাম বা কুনিয়ত হিসেবে গ্রহণ করা।
যেমন, কালব (কুকুর) মুররা (তিক্ত) হারব
(যুদ্ধ)।
নেককার ব্যক্তিদের নামে নাম
রাখাও উত্তম। এর ফলে সংশ্লিষ্ট
নামের অধিকারী ব্যক্তির
স্বভাবচরিত্র নবজাতকের মাঝে
প্রভাব ফেলার ব্যাপারে আশাবাদী
হওয়া যায়। এ ধরনের আশাবাদ ইসলামে
বৈধ। এটাকে তাফাউল ( ﺗَﻔَﺎﺅُﻝٌ) বলা হয়।
নেককার ব্যক্তিদের শীর্ষস্থানে
রয়েছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর
সাহাবায়ে কেরাম। তারপর
তাবেয়ীন। তারপর তাবে-তাবেয়ীন।
এরপর আলেম সমাজ।
আমাদের দেশে শিশুর জন্মের পর নাম
রাখা নিয়ে আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে
একটা প্রতিযোগিতা দেখা যায়।
দাদা এক নাম রাখলে নানা অন্য
একটা নাম পছন্দ করেন। বাবা-মা
শিশুকে এক নামে ডাকে। খালারা
বা ফুফুরা আবার ভিন্ন নামে ডাকে।
এভাবে একটা বিড়ম্বনা প্রায়শঃ
দেখা যায়। এ ব্যাপারে শাইখ বাকর
আবু যায়দ বলেন, নাম রাখা নিয়ে
পিতা-মাতার মাঝে বিরোধ দেখা
দিলে শিশুর পিতাই নাম রাখার
ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
“তোমরা তাদেরকে তাদের
পিতৃপরিচয়ে ডাক। এটাই আল্লাহর
কাছে ন্যায়সঙ্গত।[সূরা আহযাব ৩৩:৫]
শিশুর পিতার অনুমোদন সাপেক্ষে
আত্মীয়স্বজন বা অপর কোনো ব্যক্তি
শিশুর নাম রাখতে পারেন। তবে যে
নামটি শিশুর জন্য পছন্দ করা হয় সে
নামে শিশুকে ডাকা উচিত। আর
বিরোধ দেখা দিলে পিতাই পাবেন
অগ্রাধিকার।
কোনো ব্যক্তির প্রতি সম্মান
দেখানোর জন্য তাকে তার সন্তানের
নাম দিয়ে গঠিত কুনিয়ত বা উপনামে
ডাকা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বড়
সন্তানের নামের পূর্বে আবু বা পিতা
শব্দটি সম্বন্ধিত করে কুনিয়ত রাখা
উত্তম। যেমন- কারো বড় ছেলের নাম
যদি হয় “উমর” তার কুনিয়ত হবে আবু উমর
(উমরের পিতা)। এক্ষেত্রে বড়
সন্তানের নাম নির্বাচন করার উদাহরণ
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর আমল থেকে পাওয়া
যায়। এক সাহাবীর কুনিয়াত ছিল আবুল
হাকাম। যেহেতু হাকাম আল্লাহর খাস
নাম তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা পরিবর্তন
করে দিলেন। তিনি জিজ্ঞেস
করলেন: তোমার ছেলে নেই?
সাহাবী বললেন: শুরাইহ, মুসলিম ও
আব্দুল্লাহ। তিনি বললেন: এদের মধ্যে
বড় কে? সাহাবী বললেন: শুরাইহ। তখন
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বললেন: তোমার নাম
হবে: আবু শুরাইহ।

posted from Bloggeroid

যেনে নিন ইসলাম কি বলে বাসর রাত সম্পরকে

যেনে নিন ইসলাম কি বলে বাসর রাত সম্পরকে

ইসলাম ডেস্ক : ১- বাসরঘরে স্ত্রীর
মাথার অগ্রভাগে ডান হাত রাখা
এবং দু’আ পড়া :
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘তোমাদের কেউ যখন কোনো নারী,
ভৃত্য বা বাহন থেকে উপকৃত হয়
(বিয়েবা খরিদ করে) তবে সে যেন
তার মাথার অগ্রভাগ ধরে,
বিসমিল্লাহ পড়ে এবং বলে :
(‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এর
ও এর স্বভাবের কল্যাণ প্রার্থনা করছি
এবং এর ও এর স্বভাবের অকল্যাণ
থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।)’
২- স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একসঙ্গে দুই
রাকা‘ত সালাত আদায় করা:
আবদুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিআল্লাহু
আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, স্ত্রী যখন
স্বামীর কাছে যাবে, স্বামী তখন
দাঁড়িয়ে যাবে। আর স্ত্রীও দাঁড়িয়ে
যাবে তার পেছনে। অতপর তারা
একসঙ্গে দুইরাকা‘ত সালাত আদায়
করবে এবং বলবে :
‘হে আল্লাহ, আপনি আমার জন্য আমার
পরিবারে বরকত দিন আর আমার
ভেতরেও বরকত দিন পরিবারের জন্য।
আয় আল্লাহ, আপনি তাদের থেকে
আমাকে রিযক দিন আর আমার থেকে
তাদেরও রিযক দিন। হে আল্লাহ,
আপনি আমাদের যতদিন একত্রে
রাখেন কল্যাণেই একত্র রাখুনআর
আমাদের মাঝে যখন বিচ্ছেদ ঘটিয়ে
দেবেন তখন কল্যাণের পথেই বিচ্ছেদ
ঘটাবেন।’
৩- স্ত্রীর সঙ্গে সহবাসের দু‘আ পড়া।
স্ত্রী সহবাসকালে নিচের দু’আ পড়া
সুন্নত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘তোমাদের কেউ যদি
স্ত্রীসঙ্গমকালে বলে :
(আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ,
আমাদেরকে শয়তানের কাছ থেকে
দূরে রাখুন আর আমাদের যা দান করেন
তা থেকে দূরে রাখুন শয়তানকে।) তবে
সে মিলনে কোনো সন্তান দান করা
হলে শয়তান কখনো তার ক্ষতি করতে
পারবে না।’
৪- নিষিদ্ধ সময় ও জায়গা থেকে বিরত
থাকা :
আবূ হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে
বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘যে ব্যক্তি কোনো ঋতুবতী মহিলার
সঙ্গে কিংবা স্ত্রীর পেছন পথে
সঙ্গম করে অথবা গণকের কাছে যায়
এবং তার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে,
সে যেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি যা
অবতীর্ণহয়েছে তা অস্বীকার করলো।’
৫- ঘুমানোর আগে অযূ বা গোসল করা :
স্ত্রী সহবাসের পর সুন্নত হলো অযূ বা
গোসল করে তবেই ঘুমানো। অবশ্য
গোসল করাই উত্তম। আম্মার বিন
ইয়াসার রাদিআল্লাহু আনহু থেকে
বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘তিন ব্যক্তির কাছে ফেরেশতা আসে
না : কাফের ব্যক্তির লাশ, জাফরান
ব্যবহারকারী এবং অপবিত্র শরীর
বিশিষ্ট ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে অযূ
করে।’
৬- ঋতুবতীর স্ত্রীর সঙ্গে যা কিছুর
অনুমতি রয়েছে :
হ্যা, স্বামীর জন্য ঋতুবতী স্ত্রীর
সঙ্গে যোনি ব্যবহার ছাড়া অন্য সব
আচরণের অনুমতি রয়েছে। স্ত্রী পবিত্র
হবার পর গোসল করলে তার সঙ্গে
সবকিছুই বৈধ। কারণ, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেন,
‘… সবই করতে পারবে কেবল সঙ্গম
ছাড়া।’
৭- বিয়ের নিয়ত শুদ্ধ করা :
নারী-পুরুষের উভয়ের উচিত বিয়ের
মাধ্যমে নিজকে হারামে লিপ্ত
হওয়া থেকে বাঁচানোর নিয়ত করা।
তাহলে উভয়ে এর দ্বারা ছাদাকার
ছাওয়াব লাভ করবে।কারণ, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেন,
‘তোমাদের সবার স্ত্রীর যোনিতেও
রয়েছে ছাদাকা। সাহাবীরা
জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ,
আমাদের কেউ কি তার জৈবিক
চাহিদা মেটাবে আর তার জন্য সে
কি নেকী লাভ করবে? তিনি বললেন,
‘তোমরা কি মনে করো যদি সে ওই
চাহিদা হারাম উপায়ে মেটাতো
তাহলে তার জন্য কোনো গুনাহ হত না?
(অবশ্যই হতো) অতএব তেমনি সে যখন তা
হালাল উপায়ে মেটায়, তার জন্য
নেকী লেখা হয়।’
৮- স্ত্রী সান্নিধ্যের গোপন তথ্য
প্রকাশ না করা :
বিবাহিত ব্যক্তির আরেকটি কর্তব্য
হলো স্ত্রী সংসর্গের গোপন তথ্য
কারো কাছে প্রকাশ না করা।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে ওই
ব্যক্তি সবচে নিকৃষ্ট বলে গণ্য হবে যে
তার স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হয় এবং স্ত্রী তার
ঘনিষ্ঠ হয় অতপর সে এর গোপন বিষয়
প্রচার করে।’


posted from Bloggeroid

ইসলামের দৃষ্টিতে বায়ে কত প্রকার ও কি কি

ইসলামের দৃষ্টিতে বায়ে কত প্রকার ও কি কি

ওয়াজিব বিয়ে
যখন বিয়ে প্রয়োজন তথা দেহ-মনে
তার চাহিদা থাকে। তার এই পরিমাণ
সামর্থ থাকে যে প্রতিদিনের খরচ
প্রতিদিন উপার্জন করে খেতে
পারে। তখন বিয়ে করা ওয়াজিব।
বিয়ে থেকে বিরত থাকলে গুণাহগার
হবে।
ফরজ বিয়ে
যদি সামর্থ থাকার সাথে সাথে
চাহিদা এতো বেশি থাকে যে,
বিয়ে না করলে হারাম কাজে লিপ্ত
হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে বিয়ে
করা ফরজ।
ﻣﻦ ﺍﻟﻔﻌﻞ ﺍﻟﺤﺮﺍﻡ ﺍﻟﻨﻈﺮ ﺍﻟﻤﺤﺮﻭﻡ ﻭﺍﻻﺳﺘﻤﻨﺎﺀ ﺑﺎﻟﻜﻒ
অর্থঃ কু-দৃষ্টি ও হস্তমৈথুন হারাম
কাজের অন্তর্ভূক্ত।
সুন্নাত বিয়ে
যদি বিয়ের চাহিদা না থাকে কিন্তু
স্ত্রীর অধিকার আদায়ের সামর্থ
রাখে তবে বিয়ে করা সুন্নত।
নিষিদ্ধ বিয়ে
যদি কারো আশংকা হয় সে স্ত্রীর
অধিকার আদায় করতে পারবে না।
চাই তা দৈহিক হোক বা আর্থিক
হোক। তার জন্য বিয়ে করা নিষিদ্ধ।
মতভেদপূর্ণ বিয়ে
যদি চাহিদা ও প্রয়োজন থাকে কিন্তু
সামর্থ না থাকে তাহলে তার
বিয়ের ব্যাপারে বিভিন্ন মতামত
পাওয়া যায়। অধমের মতে ওয়াজিবের
মতটিই অগ্রগণ্য। সামর্থ কষ্ট-শ্রম ও ঋণ
করার দ্বারা অর্জন হয়। যদি সে তা
আদায় করার পরিপূর্ণ ইচ্ছা রাখে।
আদায়ের চেষ্টাও করে। যদি সে
আদায় করতে না পারে তবে আশা
করা যায় আল্লাহ তার ঋণদাতাকে
রাজি করিয়ে দিবেন। কেননা
দীনের সংরক্ষণের জন্য ঋণ
করেছিলো। কিন্তু অপ্রয়োজনীয়
কাজের জন্য ঋণ করা নাজায়েয। বরং
ভরণ-পোষণ ও মহর আদায় করার জন্য -যদি
তা নগদ প্রদান করতে হয়- ঋণ করতে
পারবে।
অন্যরা যা পড়ছেন

posted from Bloggeroid