Wednesday, 29 June 2016

এখন পোশাকই হবে মোবাইল চার্জার

এখন পোশাকই হবে মোবাইল চার্জার

পোশাকই হবে মোবাইল চার্জার

পোশাক-কে ব্যবহার করা যাবে মোবাইলের চার্জিং স্টেশন হিসেবে- এমন একটি পোশাক বানিয়েছেন হিরাল সাংঘাভি নামের এক ব্যাক্তি।
৩০ বছর বয়সী হিরাল কিকস্টার্টার ক্যাম্পেইনে নতুন এক ধরনের পোশাক নিয়ে আসছেন, যা তারবিহীন মোবাইল চার্জ ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে সিএনএন।

২০১৫ সালে হিরাল সাংঘাভি কিকস্টার্টার ‘বাউব্যাক্স’ নামের একটি জ্যাকেট তৈরি করে যার জন্য ৯২ লাখ ডলার অনুদান এসেছে। মঙ্গলবার উন্মোচিত তার নতুন এই প্রকল্পের জন্য লাগবে এক লাখ ডলার।

তিনি তার আবিষ্কৃত বাউব্যাক্সকে মোবাইল চার্জারে পরিণত করেছেন, যা ওয়াশিং মেশিন দিয়ে ধোয়াও যাবে। কেননা ভেতরের একটি পকেটের মধ্যে একটি তারবিহীন চার্জিংপ্যাড সেলাই করে ভরে দেওয়া হয়েছে।

এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার আইফোনটিও চার্জ করতে পারবেন। কেননা পোশাকটির পকেটে বাউব্যাক্স আইফোন কেইস রয়েছে। তবে, অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীরা এই কেইসটি ব্যবহার করতে পারবেন না। কেননা তা চার্জ করতে তারবিহীন চার্জিং ক্যাপাবিলিটি তৈরি করা হয়েছে। চার্জের জন্য যে পাওয়ার সোর্সের প্রয়োজন তার জন্য একটি ব্যাটারি ব্যাংকের ব্যবস্থা রয়েছে যা পোশাকটির ওয়ালেটে বহন করা যাবে।

সাংঘাভি জানিয়েছেন, ব্যাটারি ব্যাংকটি একটি স্মার্টফোন, একটি স্মার্টওয়াচে দুই বার ও চারটি ব্লুটুথ ইয়ারফোনকে চার্জ করতে পারে। এই ব্যাটারি ব্যাংকটি একটি বিশেষ বাউব্যাক্স চার্জিং প্যাড দ্বারা চার্জ করা হবে। এটি পুনরায় চার্জ করতে দুই থেকে চার ঘণ্টা সময় নেবে।

সাংঘাভি হংকংয়ে থাকাকালীন তারবিহীন চার্জিং সিস্টেমের এই চিন্তাটি তার মাথায় আসে। তিনি বলেছেন, “আমরা সেখানে নির্মাতাদের সঙ্গে একটি মিটিংয়ে ছিলাম। আমরা আমাদের ডিভাইসটি জিপিএস এবং অন্যান্য জিনিসে অনেক এবং অবিরাম ব্যাটারি চালাতে ব্যবহার করছিলাম।”

বাউব্যাক্স সোয়েট শার্ট, জ্যাকেট এবং রিস্টলেটসহ মোট ২৭টি পণ্যের ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই পোশাকগুলোর মূল্য ১৪০ থেকে ১৭০ ডলারের মধ্যে।

প্রত্যেকটি জ্যাকেটের কলার তারবিহীন ইয়ারবাডস চার্জের জন্য প্লাগ পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও জ্যাকেটের স্লিভে অ্যাপল ওয়্যাচ চার্জের ব্যবস্থা আছে।

বাউব্যাক্সের ব্যাটারি ব্যাংক, চার্জিং প্যাড, আইফোন কেইস, রিস্টলেট এবং ওয়ালেটসহ অন্যান্য অংশগুলোর প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা বিক্রি করা হবে।

প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে, ২০১৭ সালের জানুয়ারির মধ্যে গ্রাহকের হাতে পৌঁছে যাবে।

২০১৫ সালে সাংঘাভি প্রথম কিকস্টার্টার প্রকল্প হিসেবে বাউব্যাক্সটি লোকচক্ষুর সম্মুখে আনেন। এটি ট্রাভেল জ্যাকেট হিসেবে তৈরি করেছিলেন। এতে বালিশ, সোডা ক্যান হোল্ডারসহ ১৫টি ফিচার ছিল। বাউব্যাক্স কিকস্টার্টারের চতুর্থ সর্ব্বোচ্চ তহবিল পাওয়া পণ্য।

তার প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও ভোক্তাদের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হয়েছে। জ্যাকেটগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রাহকেরা পেয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বসন্তের আগে পণ্য পাঠানো সম্ভব হয়নি।

এ সম্পর্কে সাংঘাভি বলেছেন, “সাপ্লাই চেইনের সমস্যার জন্য চার মাস দেরি হয়েছে। এটি আমাদের জন্য কষ্টকর একটি অভিজ্ঞতা ছিল।”

তবে তার দ্বিতীয় পণ্যটি অর্থের জন্য নয়। তিনি বলেছেন, “এটি বাজার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা জানতে চাই আসলেই এমন ধরণের পণ্যের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা।