আগামী কাল ২০ রমজান, কাল থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র এতেকাফের সময়, যেনেনিন এতেকাফ কি? এবং কিবাভে এটা আদায় করতে হয় হাদিস সহ বিস্তারিত নিয়ম দিলাম
️ এতেকাফ ️️
•
এতেকাফ একটি গুরুত্বপূর্ণ এবাদত,
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তেকালের পূর্ব-পর্যন্ত
নিয়মিত এতেকাফ করেছেন।
পরবর্তীতে তাঁর সাহাবিগণ এ ধারা অব্যাহত রেখেছেন।
বর্তমানে মুসলিম উম্মাহর মাঝে এ ব্যাপারে শিথিলতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
যা মোটেই কাম্য নয়।
যেনেনিন বিস্তারিত
• অনেকের এ বিষয়ে ন্যূনতম ধারণাও নেই।
বিলুপ্ত-প্রায় এ আমলটির মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ আবারও যেন পূর্বের ধারায় ফিরে আসতে পারে সেজন্য কিছু আলোচনা করা হলো। •
এতেকাফের সংজ্ঞা,,
একাগ্রচিত্তে আল্লাহ তাআলার এবাদতের উদ্দেশ্যে বিশেষ পন্থায়, বিশেষ নিয়তে পুরুষের জন্য মসজিদে এবং মহিলারা মহিলারা ঘরে অবস্থান নেয়াকে এতেকাফ বলে।
এতেকাফের হুকুম
•• রামাদানের শেষ দশকে এতেকাফ করা সুন্নত।
আল্লাহ তাআলা বলেন
আমি ইবরাহীম ও ইসমাইলকে নির্দেশ দিয়েছি, তোমরা আমার ঘর পবিত্র করবে তাওয়াফকারী, এতেকাফকারী ও রুকু- সেজদাকারীদের জন্যে।
(সূরা বাকারা-১২৫)
উম্মুল মোমিনীন আয়েশা (রা:) আনহা বলেন
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তেকালের পূর্ব-পর্যন্ত
রামাদানের শেষ দশকে নিয়মিত এতেকাফ করতেন।
তার পরে তাঁর স্ত্রী-গণ এতেকাফ করতেন।
(বোখারী ও,মুসলিম শরিফ)
এতেকাফের তাৎপর্য,,
এতেকাফের অনেক তাৎপর্য রয়েছে।
যেমন
আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক সুদৃঢ়করণ।
• অহেতুক কথা ও কুপ্রবৃত্তির তাড়না থেকে সংযত থাকা।
লাইলাতুল কদর তালাশ করা,,, এটিই ছিল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এতেকাফের মূল লক্ষ্য।
বিশিষ্ট সাহাবি আবু সাঈদ খুদরি (রা:)-এর হাদিস তাই প্রমাণ করে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন
আমি এ রজনি তালাশ করতে গিয়ে প্রথম দশকে এতেকাফ করেছি। অত:পর দ্বিতীয় দশকে।
পরে আমাকে বলা হল যে এ রজনি শেষ দশকে। অতএব তোমাদের মাঝে যে এতেকাফ করতে চায় সে যেন তা করে।
এর পর লোকেরা তাঁর সাথে এতেকাফ করেছে।
• (মুসলিম শরীফ)
মসজিদে অবস্থানের অভ্যাস গড়া
এতেকাফের মাধ্যমেই বান্দা স্বীয় হৃদয় মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত করণের উপায় খুঁজে পায় এবং তা অভ্যাসে পরিণত
করতে সক্ষম হয়। যে সাত
শ্রেণির লোকেরা আরশের ছায়ার নীচে আশ্রয় পাবে —তাদের মধ্যে এক শ্রেণি হচ্ছে
এমন ব্যক্তি যার হৃদয় মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত থাকে।
•
(বোখারী ও, মুসলিম শরীফ)
দুনিয়ার প্রতি নিরাসক্তি ও বিলাসিতা পরিত্যাগ করা
এতেকাফকারী তার দুনিয়াবী ব্যস্ততা থেকে দূরে থাকে এবং এতেকাফস্থলে দুনিয়ার ভোগ সামগ্রী থেকে নিরাসক্ত
হয়ে কেমন যেন অপরিচিত
হয়ে যায় ঐ পথিকের ন্যায় যে গাছের ছায়ায় কিছু সময় বিশ্রাম নেয়ার পর তা ত্যাগ করে চলে যায়। ক্ষতিকর বদ-অভ্যাস ও কুপ্রবৃত্তি দুরিকরণে নিজেকে তৈরিকরণ।
এতেকাফকারীর জন্য নিষিদ্ধ কাজসমূহ
অতিরিক্ত কথা ও ঘুম, অহেতুক-কাজে সময় নষ্ট, মানুষের সাথে বেশি বেশি মেলা-মেশা ইত্যাদি কাজ যা এতেকাফের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে ব্যহত করে। •
ক্রয় বিক্রয়, কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।
( মুসলিম শরিফ )
তবে একান্ত প্রয়োজন হলে ভিন্ন কথা। যেমন
এতেকাফকারী নিজের পরিবারের খাদ্য জোগান দেয়ার উদ্দেশ্যে মসজিদের বাইরে ক্রয়-বিক্রয় করলে তাতে অসুবিধা নেই।
এতেকাফ অবস্তায় ••
কামভাব সহ স্ত্রী আলিঙ্গন, কেননা তা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম।
..
বায়ু নি:সরণ, এটি মসজিদের আদবের পরিপন্থী।
তাই পারতপক্ষে এ কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত।
️ এতেকাফ ️️
•
এতেকাফ একটি গুরুত্বপূর্ণ এবাদত,
• রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তেকালের পূর্ব-পর্যন্ত
নিয়মিত এতেকাফ করেছেন।
পরবর্তীতে তাঁর সাহাবিগণ এ ধারা অব্যাহত রেখেছেন।
বর্তমানে মুসলিম উম্মাহর মাঝে এ ব্যাপারে শিথিলতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
যা মোটেই কাম্য নয়।
যেনেনিন বিস্তারিত
• অনেকের এ বিষয়ে ন্যূনতম ধারণাও নেই।
বিলুপ্ত-প্রায় এ আমলটির মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ আবারও যেন পূর্বের ধারায় ফিরে আসতে পারে সেজন্য কিছু আলোচনা করা হলো। •
এতেকাফের সংজ্ঞা,,
একাগ্রচিত্তে আল্লাহ তাআলার এবাদতের উদ্দেশ্যে বিশেষ পন্থায়, বিশেষ নিয়তে পুরুষের জন্য মসজিদে এবং মহিলারা মহিলারা ঘরে অবস্থান নেয়াকে এতেকাফ বলে।
এতেকাফের হুকুম
•• রামাদানের শেষ দশকে এতেকাফ করা সুন্নত।
আল্লাহ তাআলা বলেন
আমি ইবরাহীম ও ইসমাইলকে নির্দেশ দিয়েছি, তোমরা আমার ঘর পবিত্র করবে তাওয়াফকারী, এতেকাফকারী ও রুকু- সেজদাকারীদের জন্যে।
(সূরা বাকারা-১২৫)
উম্মুল মোমিনীন আয়েশা (রা:) আনহা বলেন
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তেকালের পূর্ব-পর্যন্ত
রামাদানের শেষ দশকে নিয়মিত এতেকাফ করতেন।
তার পরে তাঁর স্ত্রী-গণ এতেকাফ করতেন।
(বোখারী ও,মুসলিম শরিফ)
এতেকাফের তাৎপর্য,,
এতেকাফের অনেক তাৎপর্য রয়েছে।
যেমন
আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক সুদৃঢ়করণ।
• অহেতুক কথা ও কুপ্রবৃত্তির তাড়না থেকে সংযত থাকা।
লাইলাতুল কদর তালাশ করা,,, এটিই ছিল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এতেকাফের মূল লক্ষ্য।
বিশিষ্ট সাহাবি আবু সাঈদ খুদরি (রা:)-এর হাদিস তাই প্রমাণ করে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন
আমি এ রজনি তালাশ করতে গিয়ে প্রথম দশকে এতেকাফ করেছি। অত:পর দ্বিতীয় দশকে।
পরে আমাকে বলা হল যে এ রজনি শেষ দশকে। অতএব তোমাদের মাঝে যে এতেকাফ করতে চায় সে যেন তা করে।
এর পর লোকেরা তাঁর সাথে এতেকাফ করেছে।
• (মুসলিম শরীফ)
মসজিদে অবস্থানের অভ্যাস গড়া
এতেকাফের মাধ্যমেই বান্দা স্বীয় হৃদয় মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত করণের উপায় খুঁজে পায় এবং তা অভ্যাসে পরিণত
করতে সক্ষম হয়। যে সাত
শ্রেণির লোকেরা আরশের ছায়ার নীচে আশ্রয় পাবে —তাদের মধ্যে এক শ্রেণি হচ্ছে
এমন ব্যক্তি যার হৃদয় মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত থাকে।
•
(বোখারী ও, মুসলিম শরীফ)
দুনিয়ার প্রতি নিরাসক্তি ও বিলাসিতা পরিত্যাগ করা
এতেকাফকারী তার দুনিয়াবী ব্যস্ততা থেকে দূরে থাকে এবং এতেকাফস্থলে দুনিয়ার ভোগ সামগ্রী থেকে নিরাসক্ত
হয়ে কেমন যেন অপরিচিত
হয়ে যায় ঐ পথিকের ন্যায় যে গাছের ছায়ায় কিছু সময় বিশ্রাম নেয়ার পর তা ত্যাগ করে চলে যায়। ক্ষতিকর বদ-অভ্যাস ও কুপ্রবৃত্তি দুরিকরণে নিজেকে তৈরিকরণ।
এতেকাফকারীর জন্য নিষিদ্ধ কাজসমূহ
অতিরিক্ত কথা ও ঘুম, অহেতুক-কাজে সময় নষ্ট, মানুষের সাথে বেশি বেশি মেলা-মেশা ইত্যাদি কাজ যা এতেকাফের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে ব্যহত করে। •
ক্রয় বিক্রয়, কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।
( মুসলিম শরিফ )
তবে একান্ত প্রয়োজন হলে ভিন্ন কথা। যেমন
এতেকাফকারী নিজের পরিবারের খাদ্য জোগান দেয়ার উদ্দেশ্যে মসজিদের বাইরে ক্রয়-বিক্রয় করলে তাতে অসুবিধা নেই।
এতেকাফ অবস্তায় ••
কামভাব সহ স্ত্রী আলিঙ্গন, কেননা তা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম।
..
বায়ু নি:সরণ, এটি মসজিদের আদবের পরিপন্থী।
তাই পারতপক্ষে এ কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত।
0 coment rios:
Post a Comment