যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান বিচারপতি
বাংলাদেশে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে বিভ্রান্তি ও অপব্যাখ্যা হচ্ছে জানিয়ে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেছেন, এই দণ্ডের অর্থ দণ্ডিত ব্যক্তিকে মৃত্যু পর্যন্ত কারাগারে থাকতে হবে।
রোববার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার পরিরদর্শনের সময় সেখানে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
ব্রিটিশ আমলে করা আইন ও কারাবিধির বর্তমান প্রেক্ষাপটে নানা অসঙ্গতির কথা তুলে ধরতে গিয়ে বিচারপতি সিনহা বলেন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নিয়েও এক ধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে।
“যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বলতে আপনারা মনে করেন ৩০ বছর। ধরে নেয়, সব জায়গায়। প্রকৃত পক্ষে এটার অপব্যাখ্যা হচ্ছে। যাবজ্জীবন অর্থ হল একেবারে যাবজ্জীবন, রেস্ট অফ দ্য লাইফ।”
তবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেলখাটার সময় রেয়াত পেলেও সেটা কোনোমতেই ৩০ বছরের কম হয় না, বলেন প্রধান বিচারপতি।
ব্রিটিশ আমলে কারাগারগুলোতে যাবজ্জীবনের প্রশ্ন ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন একেবারে দ্বীপান্তর করা হত।
“আমাদের জেল কোড অনেক পুরাতন। এটা নিয়ে ব্রিটিশ আমলে অনেক জগাখিচুড়ি হয়েছে।”
এই পর্যন্ত বিচারিক জীবনে নানা রায়ের কথা বলতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেল হত্যা, যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায়ের কথা বলেন বিচারপতি সিনহা।
“বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় কিছু ক্রুটি ছিল। সেগুলো আমি সংশোধন করতে পেরেছি। জেল হত্যা মামলায় দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমি একাই ডিসেনটিং রায় দিয়েছিলাম। সেখানে ষড়যন্ত্র ছিল, প্রমাণিত হল। কিন্তু ষড়যন্ত্রের জন্য তাদের শাস্তি হল না, আমি স্তম্ভিত হলাম। পরিকল্পিতভাবে হত্যার জন্য যারা পরিকল্পনা করেছে, তাদের প্রত্যেকের শাস্তি হওয়া উচিৎ।”
কারাগার পরিদর্শনের সময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ছিলেন কারামহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন, জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মিজানুর রহমান, সুব্রত কুমার বালা ও প্রশান্ত কুমার বনিক। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদও ছিলেন সেখানে।
বিচারপতি সিনহা কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর অভ্যন্তরে কারা গ্রন্থাগার, পাওয়ার লুম সেকশন, কারাবন্দি পুনর্বাসন স্কুল, কারা বেকারি, প্রশিক্ষণ কক্ষ, আসবাবপত্র তৈরির স্কুল, কারা ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেস, গার্মেন্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, দর্জি প্রশিক্ষণ, সূচি শিক্ষা, হস্তশিল্প, রন্ধনশালা এবং ২০০ শয্যার হাসপাতাল ঘুরে দেখেন।
প্রধান বিচারপতি বন্দিদের মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে তা নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন বলে কারা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি কারাগারে পৌঁছলে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়, দেওয়া হয় গার্ড অব অনার।

বাংলাদেশে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে বিভ্রান্তি ও অপব্যাখ্যা হচ্ছে জানিয়ে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেছেন, এই দণ্ডের অর্থ দণ্ডিত ব্যক্তিকে মৃত্যু পর্যন্ত কারাগারে থাকতে হবে।
রোববার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার পরিরদর্শনের সময় সেখানে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
ব্রিটিশ আমলে করা আইন ও কারাবিধির বর্তমান প্রেক্ষাপটে নানা অসঙ্গতির কথা তুলে ধরতে গিয়ে বিচারপতি সিনহা বলেন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নিয়েও এক ধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে।
“যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বলতে আপনারা মনে করেন ৩০ বছর। ধরে নেয়, সব জায়গায়। প্রকৃত পক্ষে এটার অপব্যাখ্যা হচ্ছে। যাবজ্জীবন অর্থ হল একেবারে যাবজ্জীবন, রেস্ট অফ দ্য লাইফ।”
তবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেলখাটার সময় রেয়াত পেলেও সেটা কোনোমতেই ৩০ বছরের কম হয় না, বলেন প্রধান বিচারপতি।
ব্রিটিশ আমলে কারাগারগুলোতে যাবজ্জীবনের প্রশ্ন ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন একেবারে দ্বীপান্তর করা হত।
“আমাদের জেল কোড অনেক পুরাতন। এটা নিয়ে ব্রিটিশ আমলে অনেক জগাখিচুড়ি হয়েছে।”
এই পর্যন্ত বিচারিক জীবনে নানা রায়ের কথা বলতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেল হত্যা, যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায়ের কথা বলেন বিচারপতি সিনহা।
“বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় কিছু ক্রুটি ছিল। সেগুলো আমি সংশোধন করতে পেরেছি। জেল হত্যা মামলায় দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমি একাই ডিসেনটিং রায় দিয়েছিলাম। সেখানে ষড়যন্ত্র ছিল, প্রমাণিত হল। কিন্তু ষড়যন্ত্রের জন্য তাদের শাস্তি হল না, আমি স্তম্ভিত হলাম। পরিকল্পিতভাবে হত্যার জন্য যারা পরিকল্পনা করেছে, তাদের প্রত্যেকের শাস্তি হওয়া উচিৎ।”
কারাগার পরিদর্শনের সময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ছিলেন কারামহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন, জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মিজানুর রহমান, সুব্রত কুমার বালা ও প্রশান্ত কুমার বনিক। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদও ছিলেন সেখানে।
বিচারপতি সিনহা কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর অভ্যন্তরে কারা গ্রন্থাগার, পাওয়ার লুম সেকশন, কারাবন্দি পুনর্বাসন স্কুল, কারা বেকারি, প্রশিক্ষণ কক্ষ, আসবাবপত্র তৈরির স্কুল, কারা ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেস, গার্মেন্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, দর্জি প্রশিক্ষণ, সূচি শিক্ষা, হস্তশিল্প, রন্ধনশালা এবং ২০০ শয্যার হাসপাতাল ঘুরে দেখেন।
প্রধান বিচারপতি বন্দিদের মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে তা নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন বলে কারা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি কারাগারে পৌঁছলে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়, দেওয়া হয় গার্ড অব অনার।

0 coment rios:
Post a Comment