Sunday, 29 May 2016

জলদি অনলাইনে পাসপোর্ট তৈরি করে নিন আর ভিসা ছড়াই বিদেশ ঘুরে আসুন

আজ আমি আপনাদের দুইটি জিনিস শেয়ার করব:

ক) কিভাবে অনলাইনে পাসপোর্ট করা যায়,
খ) ভিসা ছাড়া বিদেশ ভ্রমন।
ক) অনলাইনে পাসপোর্টের ফর্ম পূরণ করে পাসপোর্ট অফিসে ফর্ম জমা দিয়ে ছবি তুলতে সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিট, তাও বিনা ঘুষে! জি , আমি সত্য কথা বলছি।

আসুন আমরা জেনে নেই কিভাবে অনলাইনে পাসপোর্ট করা যায়
➡ ১ম ধাপঃ

এই পেজ এ যান (Click Here for Link)

অনলাইনে ফর্মটি ফিলআপ করুন এবং প্রিন্টআউট নিন।

➡ ২য় ধাপঃ

পাসপোর্ট এর ফর্মটি, আপনার ন্যাশনাল আইডি এবং পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এর ফটোকপি (যদি থাকে) সত্যায়িত করে পাসপোর্ট অফিসে চলে যান।

➡ ৩য় ধাপঃ

পাসপোর্ট অফিসের পাশে সোনালী ব্যঙ্ক এ । জরুরী পাসপোর্ট করতে চাইলে ৬০০০ টাকা আর সাধারনভাবে করতে চাইলে ৩০০০ টাকা জমা দিন। রশিদটি আঠা দিয়ে ফর্মের উপর সংযজন করুন।

➡ ৪র্থ ধাপঃ

এবার পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি ফর্ম টি ভেরিফাই করিয়ে নিন। তারা আপনার ফর্ম এর উপর সই করে একটি সিরিয়াল নম্বর লিখে দিবে।

➡ ৫ম ধাপঃ

এবার সরাসরি চলে যান উপ কমিশনারের রুমে এবং তাকে দিয়ে ফর্ম টি ভেরিফাই করিয়ে নিন।এখানে থেকে ভেরিফিকেসন করার পর পাঠিয়ে দিবে পাশের কাউন্টারের রুমে ছবি তুলতে।

➡ ৬ষ্ঠ ধাপঃ

ছবি তুলতে সজা এই কাউন্টারে গিয়ে আপনার ফর্মটি জমা দিন। সেখানে অফিসার আপনার ছবি তুলবে, আঙ্গুলের ছাপ ও স্বাক্ষর নিবে এবং তারপর আপনাকে রশিদ ধরিয়ে দিবে। সেটা ভালো মত চেক করে রুম থেকে বেরিয়ে আসুন।

ব্যাস… আপনার ফর্ম জমা দেয়া শেষ। যেদিন পাসপোর্ট দেয়ার ডেট, সেদিন পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে রশিদ দেখিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন।

মনে রাখবেনঃ

অবশ্যই বাসা থেকে সত্যায়িত করে নিয়ে যাবেন।
NID এর সত্যায়িত ফটোকপি এবং পুরানো পাসপোর্টের (যদি থাকে) ফটোকপি নিয়ে যাবেন।
সাদা কাপড় পড়ে ছবি তোলা যাবে না।
অনলাইন পাসপোর্টের অফিসিয়াল নির্দেশনা ২০১৩

খ) ভিসা ছাড়া বিদেশ ভ্রমন:
এবার তাহলে দেখে নেয়া যাক বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে কোন কোন দেশে বেড়াতে যাওয়া যাবে আগে থেকে ভিসা না নিয়ে। এর মাঝে বেশির ভাগ দেশে যেতে গেলে কেবল টিকেট করে চলে গেলেই হবে, পর্যটক ভিসা আপনাকে ওই দেশের এয়ারপোর্টে দেয়া হবে। আর কোনো কোনো দেশে তাও লাগে না, বাংলাদেশী পাসপোর্ট দেখিয়েই ওই দেশে ঢুকে যেতে পারবেন। দেশভেদে এই সব দেশে ৫ থেকে ১২০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন। অল্প কয়টি দেশ আছে যেখানে আপনার থাকার কোনো সীমা বেধে দেয়া নেই। প্রয়োজন হলে যাওয়ার আগে সংশ্লিস্ট দেশের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে পারেন।

বিশ্বের এমন কিছু দেশ আছে যেখানে যেতে ভিসার প্রয়োজন নেই, শুধু বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকলেই হবে। আর এমন কিছু দেশ আছে যেখানে ল্যান্ড করার পরে এয়ারপোর্ট থেকে (on arrival) ভিসা পাওয়া যায়, তবে কোন কোন দেশের ক্ষেত্রে অবশ্য ফি দিতে হয়।

ভিসা ছাড়া যাওয়া যাবে এবং অবস্থান করা যাবে এমন দেশগুলো হচ্ছে

এশিয়া মাহাদেশের মধ্যে

ভুটান (যত দিন ইচ্ছা),
শ্রীলংকা (৩০ দিন),
আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে

কেনিয়া (৩ মাস),
মালাউই (৯০ দিন),
সেশেল (১ মাস),
আমেরিকা মাহাদেশের মধ্যে

ডোমিনিকা (২১ দিন),
হাইতি (৩ মাস),
গ্রানাডা (৩ মাস),
সেন্ট কিট্‌স এ্যান্ড নেভিস (৩ মাস),
সেন্ড ভিনসেন্ট ও গ্রানাডাউন দ্বীপপুঞ্জ (১ মাস),
টার্কস ও কেইকোস দ্বীপপুঞ্জ (৩০ দিন),
মন্টসের্রাট (৩ মাস),
ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপমালা (৩০ দিন),
ওশেনিয়া মাহাদেশের মধ্যে ফিজি (৬ মাস),
কুক দ্বীপপুঞ্জ (৩১ দিন),
নাউরু (৩০ দিন),
পালাউ (৩০ দিন),
সামোয়া (৬০ দিন),
টুভালু (১ মাস),
নুউ (৩০ দিন),
ভানুয়াটু (৩০ দিন) এবং
মাক্রোনেশিয়া তিলপারাষ্ট্র (৩০ দিন) অন্যতম।
এছাড়াও যেসব দেশে প্রবেশের সময় (on arrival) ভিসা পাওয়া যাবে সেগুলো হচ্ছে

এশিয়ার মধ্যে

আজারবাইজান (৩০ দিন, ফি ১০০ ডলার),
জর্জিয়া (৩ মাস),
লাউস (৩০ দিন, ফি ৩০ ডলার),
মালদ্বীপ(৩০ দিন), মাকাউ (৩০ দিন),
নেপাল (৬০ দিন, ফি ৩০ ডলার),
সিরিয়া (১৫ দিন),
পূর্ব তিমুর (৩০ দিন, ফি ৩০ ডলার),
আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে
বুরুন্ডি, কেপ ভার্দ, কোমোরোস, জিবুতি (১ মাস, ফি ৫০০ জিবুতিয়ান ফ্রাঙ্ক),
মাদাগাস্কার (৯০ দিন, ফ্রি ১,৪০,০০০ এমজিএ),
মোজাম্বিক (৩০ দিন, ফি ২৫ ডলার),
টোগো (৭ দিন, ফি ৩৫,০০০ এক্সডিএফ) এবং
উগান্ডা (৩ মাস, ফি ৩০ ডলার)
তবে বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট রওনা হবার সময় কিছু সুযোগ সন্ধানী অফিসার ভিসা নেই বা আপনার সমস্যা হবে এই মর্মে হয়রানি করতে পারে টু-পাই কামানোর জন্য। কেউ এসব দেশে বেড়াতে যেতে চাইলে টিকিট কেনার সময় আরো তথ্য জেনে নিতে পারেন।

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।

posted from Bloggeroid


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: