স্বাস্থ্য নিয়ে যথেষ্ট সচেতনতা অবলম্বন করার পরও দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় কিছু ভুল বা বদভ্যাস থেকেই যায়। ঠিক কোন অভ্যাস স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে সেটাও চিহ্নিত করা সহজ কাজ নয়। স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট জানিয়েছে অতি সাধারণ এমন কিছু বদভ্যাস যা গোপনে স্বাস্থ্যহানী করছে প্রতিনিয়ত। ঘুম থেকে উঠেই গোসল: সকালে চোখ খুলেই তোয়ালে বা গামছা কাঁধে নিয়ে গোসলে যাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী এমি কাডি তার ‘প্রেজেন্সে: ব্রিংগিং ইয়োর বোলডেস্ট সেল্ফ টু ইয়োর বিগেস্ট চ্যালেঞ্জ’ বইতে জানান, ঘুম থেকে উঠে মাত্র দুই মিনিট আড়মোড়া ভাঙার মাধ্যমে শরীরে পাবেন বাড়তি স্ফুর্তি। প্রতিদিন শ্যাম্পু: চুল যত বড় আর ঘনই হোক না কেনো, একদিনেই নোংরা হয়ে যায় না। তাই একটা দিন চুলকে শ্যাম্পু থেকে মুক্তি দিন। প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে যায়। আর যে তেলকে প্রয়োজনীয় বলা হয় তা নিঃসন্দেহে চুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কলা বাদামি হলেই ফেলে দেওয়া: কলার রং বাদামি হওয়া মানে তা পঁচে যাওয়া নয়। বরং এটাই খাওয়া জন্য সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত। লিভস্ট্রং ডটকম সাইটটির মতে, হলুদ, সবুজ কিংবা কাঁচাকলার চাইতে বাদামি রংয়ের কলা বেশি মিষ্টি, সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। কাজের তালিকা: প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর তালিকাটি বেশিরভাগ সময় সুবিধার চাইতে অসুবিধাই বেশি সৃষ্টি করে, এমনটাই দাবি সময় ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কেভিন ক্রুজের। ডেইলি মেইলকে এই বিষেশজ্ঞ বলেন, “এর কারণ হল তালিকার মাত্র প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ বাস্তবে রুপ নেয়। ফলে বাকি কাজগুলো শুধু তালিকাতেই থেকে যায়। পাশাপাশি একটা কাজ শেষ করে ‘টিক মার্ক’ করা মানসিক চাপ বাড়ায়। তাই তালিকা ছুড়ে ফেলে কিছুক্ষণ শান্ত মাথায় চিন্তা করে গুরুত্ব অনুযায়ি কাজ ভাগ করে নিন।” অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা: অন্যের হাতে কিছু একটা দেখে আপনার মনে হল, ইসস আমারও যদি থাকত। শপিং সেন্টারে কিংবা অনলাইনে সেই পণ্যটাই একদিন পেয়ে গেলেন, তৎক্ষনাত কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। থামুন, ভেবে দেখুন, ওই পণ্য কি আপনার আসলেই প্রয়োজন? বেশিরভাগ সময়ই দেখবেন প্রয়োজন নয়, বরং তা সাময়িক একটা ভালোলাগা ছিল। তাই অপ্রয়োজনীয় খরচ না করে প্রয়োজনীয় খরচের জন্য অর্থ সঞ্চয় করা বুদ্ধিমানের কাজ। অনলাইনে কৌতুক: বন্ধু কিংবা সহকর্মীর সঙ্গে একটুখানি কৌতুক করার উদ্দেশ্য নিয়ে সরল মনে অনলাইনে একটি টেক্সট করলেন। লেখাটা অপরপক্ষের কাছে পৌছালেও আপনার ওই রসবোধটা প্রকাশ হল না। ফলে হিতে বিপরীত হয়ে সম্পর্ক নষ্ট হল। ফোর্বস ডটকমের মতে, অনলাইনে কারও কথাকে ভুল বোঝা অত্যন্ত সহজ একটি বিষয়, কারণ আপনার কথার সঠিক অর্থ বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আপনার অতি প্রয়োজনীয় ভাবের প্রকাশ সেখানে নেই। তাই অনলাইনে কিংবা এসএমএস-এ কথা পরিষ্কারভাবে লিখতে হবে। সব কাজে তাড়াহুড়া: তাড়াহুড়ার কাজ কখনও ভালো হয় না। আবার এক কাজ শেষ না করেই অন্য কাজে হাত দিলে কোনো কাজই ভালো মতো হয় না। তাই যখন যা করবেন তা মনোযোগ দিয়ে করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার অলস বন্ধুকে অনুসরণ করতে পারেন। অলস ব্যক্তিরা মানসিক চাপ না নিয়ে শান্তভাবে কাজ করে। ফলে দেরিতে হলেও কাজ ভালো হয়।
Friday, 27 May 2016
Author: bdlove
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
0 coment rios:
Post a Comment