Saturday, 28 May 2016

গৃহিণীদের কাজে সহযোগিতা করাও এবাদত

পরিবারের নারীদেরকে এই সামান্য সহযোগিতাও ইবাদত। পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতা একটি স্বতন্ত্র ও অনেক বড় নেক আমল। আর মাহে রমজানে তো যে কোনো নেক আমলের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অন্য মাসের চেয়ে বেশি। এই মর্মে কোরআন বলছে, “তোমরা সৎকর্ম ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে একে অন্যকে সহযোগিতা করবে। গুনাহ ও জুলুমের কাজে একে অন্যের সহযোগিতা করবে না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহর শাস্তি খুবই কঠিন।”(সূরা মায়েদা, আয়াত ২) রমজানে দুপুরের সময়টা খুবই ক্লান্তির সময়। এসময় বড় ধরনের কাজ না থাকলে পরিবারের পুরুষ সদস্যরা একটু আরাম করে থাকেন। নিয়মিত যাদের অফিস করতে হয় তাদের কথা ভিন্ন। কিন্তু এসময়টাতেই নারীদের সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততা। ইফতারির আয়োজন থেকে নিয়ে ঘরবাড়ি পরিস্কার করা পর্যন্ত সমস্ত কাজ গৃহিণীকেই দেখতে হয়। রোজার দীর্ঘ উপবাসের কারণে শারীরিক অবসাদ ও ক্লান্তিবোধ পুরুষের যেমন হয় নারীদেরও হয়। এসময় নারীরা অন্যের একটু সাহায্য-সহযোগিতা ও সহমর্মিতা পেলে খানিকটা হলেও স্বস্তি পায়। মানসিক আনন্দ-তৃপ্তি অনুভব করে। এসময় আমাদের পরিবারগুলোতে পুরুষ সদস্যরা গৃহিণীর সঙ্গে একটু সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারেন। গৃহিণীর কাজকে হালকা করে দিতে পারেন। পরিবারের নারীদেরকে এই সামান্য সহযোগিতাও ইবাদত। পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতা একটি স্বতন্ত্র ও অনেক বড় নেক আমল। আর মাহে রমজানে তো যে কোনো নেক আমলের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অন্য মাসের চেয়ে বেশি। এই মর্মে কোরআন বলছে, “তোমরা সৎকর্ম ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে একে অন্যকে সহযোগিতা করবে। গুনাহ ও জুলুমের কাজে একে অন্যের সহযোগিতা করবে না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহর শাস্তি খুবই কঠিন।”(সূরা মায়েদা, আয়াত ২) হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের পার্থিব কষ্টসমূহের একটি দূর করে দেয়, আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তার একটি কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবীর অভাবের কষ্ট লাঘব করে, আল্লাহ তায়ালা তার দুনিয়ার ও আখেরাতের অভাবের কষ্ট লাঘব করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। আল্লাহ তায়ালা বান্দার সহয়তায় থাকেন, যতক্ষণ বান্দা তার ভাইয়ের সহায়তায় থাকে।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৮) সুরাইয়া বিনতে শরিফ


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: