মহিলাদের ‘না’-এর কি কোনও গুরুত্ব নেই? আছে। যদি কোনও মহিলাকে কিছু খাবার খেতে দেওয়া হয় আর তিনি তা খেতে না-চান, জোর করে তো কেউ মুখে ঢুকিয়ে দেবে না!
তবে ওই পর্যন্তই। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে যৌনসম্পর্কে যদি কোনও মহিলা রাজি না-হন, সেই ‘না’-এর গুরুত্ব এখনও এ দেশে স্বীকৃত নয়। ‘স্ত্রীকে ধর্ষণ’— শব্দ দু’টির অস্তিত্ব নিয়েই যে এখনও দেশে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রয়েছে, সে কথা সামনে নিয়ে এসেছে একটি ভিডিও। আমেরিকার রোম্যান্টিক কমেডি সিটকম ‘হাউ আই মেট ইওর মাদার’-এর অনুকরণে ভিডিওটির নাম— ‘হাউ আই রেপ্ড ইওর মাদার’!
কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী মেনকা গাঁধী গতকালই জাতীয় মহিলা নীতির খসড়া প্রকাশ করেছেন। তাতে বাদ পড়েছে স্ত্রীকে ধর্ষণের বিষয়টি। ঘটনাচক্রে, তার দিনদু’য়েক আগে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভাইরাল’ হয়েছে স্ত্রীকে ধর্ষণ নিয়ে তৈরি এই ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও। তৈরি করেছে ‘গার্লইয়াপা’ নামে তরুণীদের একটি দল।
ভিডিওটি শুরু হয় যৌথ পরিবারের এক দৃশ্য দিয়ে, যেখানে সদ্যবিবাহিত দেবিকা নামের এক মেয়ে স্বামীকে ছেড়ে সটান ফিরে এসেছেন বাবা-মায়ের কাছে। মেয়েটিকে ঘিরে ধরে তাঁর পরিবারের সদস্যেরা জানতে চান, সমস্যা কোথায়? মেয়েটি জানান, তাঁকে প্রতিদিন ধর্ষণ করা হচ্ছে।
পরিবারের প্রায় সকলেই উত্তেজিত হয়ে জানতে চান, কে তাঁকে ধর্ষণ করেছে? কিন্তু উত্তর শোনামাত্র হাসতে থাকেন সকলে। হাসতে হাসতে লুটিয়েই পড়েন এক কাকা। কারণ, ধর্ষক— দেবিকার স্বামী অরুণ।
হেসে লুটিয়ে-পড়া কাকা বই খুলে দেবিকাকে দেখান ধর্ষণের প্রকারভেদ— ট্যাক্সিতে ধর্ষণ, বাসে ধর্ষণ, পরিত্যক্ত কারখানায় ধর্ষণ! কিন্তু স্ত্রীকে ধর্ষণের কথা তো বইয়ে লেখা নেই!
এরপর হাসতে হাসতেই মেয়েটির ঠাকুমা জানান, ওটিকে ‘ধর্ষণ’ বলে না। বলে ‘তীব্র ভালবাসা’। দেবিকার মা’ও মেয়েকে বোঝান, এখনও তো প্রতিদিন মেয়েটির বাবা তাঁকে ধর্ষণ...! বলতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে মা বলেন, ‘তীব্র ভালবাসেন’। হাসতে থাকেন বাবাও। মেয়েকে বলেন, ‘এরকম হয়েই থাকে। আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে যায়।’
বিরক্ত হয়ে দেবিকা বলেন, ‘তোমরা যদি আমার সমস্যা না বুঝতে পারো, তাহলে আমি কি যন্তরমন্তরে গিয়ে বিক্ষোভ করব?’ কাকার উত্তর, ‘তুমি একজন মহিলা। কানহাইয়া নও যে বিক্ষোভ করবে।’

তবে ওই পর্যন্তই। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে যৌনসম্পর্কে যদি কোনও মহিলা রাজি না-হন, সেই ‘না’-এর গুরুত্ব এখনও এ দেশে স্বীকৃত নয়। ‘স্ত্রীকে ধর্ষণ’— শব্দ দু’টির অস্তিত্ব নিয়েই যে এখনও দেশে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রয়েছে, সে কথা সামনে নিয়ে এসেছে একটি ভিডিও। আমেরিকার রোম্যান্টিক কমেডি সিটকম ‘হাউ আই মেট ইওর মাদার’-এর অনুকরণে ভিডিওটির নাম— ‘হাউ আই রেপ্ড ইওর মাদার’!
কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী মেনকা গাঁধী গতকালই জাতীয় মহিলা নীতির খসড়া প্রকাশ করেছেন। তাতে বাদ পড়েছে স্ত্রীকে ধর্ষণের বিষয়টি। ঘটনাচক্রে, তার দিনদু’য়েক আগে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভাইরাল’ হয়েছে স্ত্রীকে ধর্ষণ নিয়ে তৈরি এই ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও। তৈরি করেছে ‘গার্লইয়াপা’ নামে তরুণীদের একটি দল।
ভিডিওটি শুরু হয় যৌথ পরিবারের এক দৃশ্য দিয়ে, যেখানে সদ্যবিবাহিত দেবিকা নামের এক মেয়ে স্বামীকে ছেড়ে সটান ফিরে এসেছেন বাবা-মায়ের কাছে। মেয়েটিকে ঘিরে ধরে তাঁর পরিবারের সদস্যেরা জানতে চান, সমস্যা কোথায়? মেয়েটি জানান, তাঁকে প্রতিদিন ধর্ষণ করা হচ্ছে।
পরিবারের প্রায় সকলেই উত্তেজিত হয়ে জানতে চান, কে তাঁকে ধর্ষণ করেছে? কিন্তু উত্তর শোনামাত্র হাসতে থাকেন সকলে। হাসতে হাসতে লুটিয়েই পড়েন এক কাকা। কারণ, ধর্ষক— দেবিকার স্বামী অরুণ।
হেসে লুটিয়ে-পড়া কাকা বই খুলে দেবিকাকে দেখান ধর্ষণের প্রকারভেদ— ট্যাক্সিতে ধর্ষণ, বাসে ধর্ষণ, পরিত্যক্ত কারখানায় ধর্ষণ! কিন্তু স্ত্রীকে ধর্ষণের কথা তো বইয়ে লেখা নেই!
এরপর হাসতে হাসতেই মেয়েটির ঠাকুমা জানান, ওটিকে ‘ধর্ষণ’ বলে না। বলে ‘তীব্র ভালবাসা’। দেবিকার মা’ও মেয়েকে বোঝান, এখনও তো প্রতিদিন মেয়েটির বাবা তাঁকে ধর্ষণ...! বলতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে মা বলেন, ‘তীব্র ভালবাসেন’। হাসতে থাকেন বাবাও। মেয়েকে বলেন, ‘এরকম হয়েই থাকে। আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে যায়।’
বিরক্ত হয়ে দেবিকা বলেন, ‘তোমরা যদি আমার সমস্যা না বুঝতে পারো, তাহলে আমি কি যন্তরমন্তরে গিয়ে বিক্ষোভ করব?’ কাকার উত্তর, ‘তুমি একজন মহিলা। কানহাইয়া নও যে বিক্ষোভ করবে।’

posted from Bloggeroid
0 coment rios:
Post a Comment