নিউজ ডেস্ক: নববধুর কোলজুড়ে প্রথম সন্তান আসছে। এ নিয়ে স্বজনদের মধ্যে আনন্দের শেষ নেই। কিন্তু ছেলে শিশু ভূমিষ্ট হওয়ার পর উৎসবের পরিবর্তে বিষাদের ছায়া। কারণ তার অবয়বে বৃদ্ধ মানুষের ছাপ। চেহারাও অনেকটা বিকৃত।-নয়াদিগন্ত।
জন্মের পর শিশুটিকে দেখে ভয় লাগত। কাছে ভিড়তো না কেউ। রটাতো নানা কল্প-কাহিনী। কিন্তু পরম মমতায় বায়েজিদকে লালনপালন করতে লাগলেন মা তৃপ্তি খাতুন।
বায়েজিদের বাবার নাম লাভলু শিকদার। বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুরের বিনোদপুর ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামে।
গতকাল সোমবার বিকেলে লাভলুর বাড়ি গিয়ে কথা হয় পরিবারের সাথে। বায়েজিদের চেহারায় শিশুর সরলতা। মায়া জড়ানো মুখে সবসময় হাসি লেগেই থাকে। বায়েজিদ শিকদারের বয়স এখন চার বছর। শুনলে যে কেউ চমকে ওঠেন। কারণ তার চেহারায় বৃদ্ধের ছাপ। মুখ পেটসহ শরীরের চামড়া ঝুলে আছে। দেখলে মনে হবে একজন বৃদ্ধ বসে আছেন।
বায়েজিদের দাদা হাসেম আলী শিকদার বলেন, শিশুটি বিকৃত চেহারা নিয়ে জন্ম নেয়। এ নিয়ে নানা কথা রটাতো গ্রামের লোকজন। অনেকে ভয়ে তার কাছে ভিড়ত না। আস্তে আস্তে সে বড় হতে থাকলে তার চেহারায় বৃদ্ধ মানুষের ভাব চলে আসে। দিন যাচ্ছে তার এ সমস্যা বাড়ছে।
মা তৃপ্তি খাতুন বলেন, স্বাভাবিকভাবে শিশু ১০ মাসে হাটা শিখলেও বায়েজিদের লেগেছে সাড়ে তিন বছর। আবার তিনমাসেই তার সবগুলো দাঁত উঠে গেছে। সে স্বাভাবিক চলাফেরা ও খাওয়া-দাওয়া করতে পারে।
আগে ভয়ে কেউ তার কাছে আসত না। আমি তাকে পরম যত্নে বড় করছি। এখন আর তেমন সমস্যা নেই- জানান তিনি।
বায়েজিদের বাবা লাভলু শিকদার বলেন, অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি। ৩-৪ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। কষ্ট করে টাকা-পয়সা সংগ্রহ করে চিকিৎসা করিয়েও কোনো ফল পাইনি। চিকিৎসকেরা বিদেশে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু তার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এই শিশুর চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়।
মা আয়েশা বেগম, বাবা হাসেম শিকদার, স্ত্রী তৃপ্তি খাতুন ও এক ছেলে বায়েজিদকে নিয়ে লাভলু শিকদারের পরিবার। নিজের সামান্য জমিতে কৃষি কাজ আর মৌসুমি ক্ষুদ্র ব্যবসা করে চলে তাদের সংসার।
মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোকসেদুল মোমিন জানান, একটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি অনেকটাই যেমন জিনগত ও পরিবেশগত বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, তেমনি নির্ভর করে তার হরমোনের ওপর।
এছাড়া শৈশবে কোনো দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা, যেমন- কিডনি বা ফুসফুসের রোগ, অপুষ্টি ইত্যাদি কারণে শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। শরীরের প্রায় সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বৃদ্ধি যে হরমোনগুলো নিয়ন্ত্রণ করে তার মধ্যে থাইরয়েড ও গ্রোথ হরমন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই হরমোনগুলোর অভাবে শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি থমকে যেতে পারে বা ধীরে হতে পারে। নানা কারণে এমন হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলে টার্নার বা ডাউনস সিনড্রোম। এ রোগের চিকিৎসা থকলেও জটিল, সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল।
মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. হামিদ মিয়া বলেন, কোনো পিতার কাছেই সন্তানের এই অবস্থা সুখকর নয়। দরিদ্র এই পিতার সন্তানের চিকিৎসার জন্য বিত্তবান লোকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

জন্মের পর শিশুটিকে দেখে ভয় লাগত। কাছে ভিড়তো না কেউ। রটাতো নানা কল্প-কাহিনী। কিন্তু পরম মমতায় বায়েজিদকে লালনপালন করতে লাগলেন মা তৃপ্তি খাতুন।
বায়েজিদের বাবার নাম লাভলু শিকদার। বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুরের বিনোদপুর ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামে।
গতকাল সোমবার বিকেলে লাভলুর বাড়ি গিয়ে কথা হয় পরিবারের সাথে। বায়েজিদের চেহারায় শিশুর সরলতা। মায়া জড়ানো মুখে সবসময় হাসি লেগেই থাকে। বায়েজিদ শিকদারের বয়স এখন চার বছর। শুনলে যে কেউ চমকে ওঠেন। কারণ তার চেহারায় বৃদ্ধের ছাপ। মুখ পেটসহ শরীরের চামড়া ঝুলে আছে। দেখলে মনে হবে একজন বৃদ্ধ বসে আছেন।
বায়েজিদের দাদা হাসেম আলী শিকদার বলেন, শিশুটি বিকৃত চেহারা নিয়ে জন্ম নেয়। এ নিয়ে নানা কথা রটাতো গ্রামের লোকজন। অনেকে ভয়ে তার কাছে ভিড়ত না। আস্তে আস্তে সে বড় হতে থাকলে তার চেহারায় বৃদ্ধ মানুষের ভাব চলে আসে। দিন যাচ্ছে তার এ সমস্যা বাড়ছে।
মা তৃপ্তি খাতুন বলেন, স্বাভাবিকভাবে শিশু ১০ মাসে হাটা শিখলেও বায়েজিদের লেগেছে সাড়ে তিন বছর। আবার তিনমাসেই তার সবগুলো দাঁত উঠে গেছে। সে স্বাভাবিক চলাফেরা ও খাওয়া-দাওয়া করতে পারে।
আগে ভয়ে কেউ তার কাছে আসত না। আমি তাকে পরম যত্নে বড় করছি। এখন আর তেমন সমস্যা নেই- জানান তিনি।
বায়েজিদের বাবা লাভলু শিকদার বলেন, অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি। ৩-৪ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। কষ্ট করে টাকা-পয়সা সংগ্রহ করে চিকিৎসা করিয়েও কোনো ফল পাইনি। চিকিৎসকেরা বিদেশে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু তার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এই শিশুর চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়।
মা আয়েশা বেগম, বাবা হাসেম শিকদার, স্ত্রী তৃপ্তি খাতুন ও এক ছেলে বায়েজিদকে নিয়ে লাভলু শিকদারের পরিবার। নিজের সামান্য জমিতে কৃষি কাজ আর মৌসুমি ক্ষুদ্র ব্যবসা করে চলে তাদের সংসার।
মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোকসেদুল মোমিন জানান, একটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি অনেকটাই যেমন জিনগত ও পরিবেশগত বিষয়ের ওপর নির্ভর করে, তেমনি নির্ভর করে তার হরমোনের ওপর।
এছাড়া শৈশবে কোনো দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা, যেমন- কিডনি বা ফুসফুসের রোগ, অপুষ্টি ইত্যাদি কারণে শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। শরীরের প্রায় সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বৃদ্ধি যে হরমোনগুলো নিয়ন্ত্রণ করে তার মধ্যে থাইরয়েড ও গ্রোথ হরমন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই হরমোনগুলোর অভাবে শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি থমকে যেতে পারে বা ধীরে হতে পারে। নানা কারণে এমন হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলে টার্নার বা ডাউনস সিনড্রোম। এ রোগের চিকিৎসা থকলেও জটিল, সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল।
মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. হামিদ মিয়া বলেন, কোনো পিতার কাছেই সন্তানের এই অবস্থা সুখকর নয়। দরিদ্র এই পিতার সন্তানের চিকিৎসার জন্য বিত্তবান লোকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

posted from Bloggeroid
0 coment rios:
Post a Comment